৯০-এর দশকে পপ সঙ্গীতে প্রথম সারির গায়ক ছিলেন জর্জ মাইকেল ৷ ‘লাস্ট ক্রিসমাস’ ও ‘ওয়েক মি আপ’ তাঁর অনন্য সৃষ্টি ৷ পপ সঙ্গীতে একক শিল্পী হিসেবে জনপ্রিয়তা পেলেও জর্জ মাইকেলের আত্মপ্রকাশ ব্যাণ্ডের হাত ধরেই ৷ ১৯৮১ সালে বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ‘হোয়্যাম’ ৷ এই ব্যাণ্ডের প্রথম অ্যালবাম ফ্যানটাস্টিক চুড়ান্ত জনপ্রিয়তা পায় ৷ ‘ইয়ং গানস,’ ‘হোয়্যাম র্যাপ,’ এবং ‘ক্লাব ট্রপিকানা’–র মতো গানগুলি তখন কিশোর-কিশোরীদের মুখে মুখে ঘুরত ৷ পরের অ্যালবাম ‘মেক ইট বিগ’-এর থেকেই ব্যাণ্ডের মধ্যে থেকেও ফোকাসড হন মাইকেল জর্জ ৷
advertisement
এরপর ১৯৮৬ সালে ‘হোয়্যাম’ ভেঙে যাওয়ার পরের বছরই ১৯৮৭ তে প্রথম একক শিল্পী হিসেবে প্রকাশিত হয় মাইকেলের প্রথম সৃষ্টি ‘ফেইথ’ ৷ বিশ্বজুড়ে অ্যালবামটির ২০ মিলিয়ন কপির রেকর্ড বিক্রি হয় ৷ এরপর ‘লিসেন উইদাউট প্রেজুডাইস,’ ‘ওল্ডার,’ ‘সঙ্গস ফ্রম দ্য লাস্ট সেঞ্চুরি’–র মতো হিট অ্যালবাম আমরা পেয়েছি জর্জ মাইকেলের থেকে । জেসাস টু আ চাইল্ড তাঁর বিখ্যাত গান ৷
৩০ বছরের কেরিয়ারে ২ বার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন জর্জ মাইকেল ৷ মনোনীত হয়েছেন মোট ৮ বার ৷ এছাড়াও বহু পুরস্কার রয়েছে মাইকেলের ঝুলিতে ৷
খ্যাতিই নয় বিতর্কও ছিল জর্জ মাইকেলের সঙ্গী ৷ ২০০৬ সালে নেশা করে গাড়ি চালানোর জন্য তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হয়। ২০০৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে কোকেন নেওয়ার অভিযোগও ওঠে। ২০০৯ সালের জুলাই মাস নাগাদ ফের মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে উত্তর লন্ডনে দুর্ঘটনায় পড়েন। এই ঘটনার জন্য তাঁকে আট মাস জেলে কাটাতে হয় ৷
বিখ্যাত এই পপ তারকার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন ব্রায়ান অ্যাডামস থেকে রাসেল ক্রো, সকলেই ৷