আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের এক সম্মেলনে প্রকাশিত হয় এই এলাকায় গবেষণার তথ্য। প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানান, আগে মনে করা হত, এই সমাধিক্ষেত্র শুধুই পাহাড়ের ওপরের অংশে আছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে পাহাড়টা ঘিরে রয়েছে এই কাঠামো। এমনকি এমনটাও সন্দেহ করা হচ্ছে, পাহাড়টি আসলে পাহাড় নয়, বরং একটি পিরামিড। এই প্রাচীন পিরামিডের উপরে বসানো হয়েছে একটি সমাধিক্ষেত্র।
advertisement
গ্রাউন্ড পেনিট্রেশন র্যাডার (জিপিআর) ব্যবহার করে ওই এলাকার মাটির নীচে স্ক্যান করা হয়। এছাড়াও মাটি খনন করে সংগ্রহ করা হয় নানা নমুনা । সেকান থেকেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য ! দেখা যায়, মাটির নীচে অনেক গভীর পর্যন্ত চলে গিয়েছে পিরামিডের কাঠামো। একবারে এই কাঠামো তৈরি হয়নি। বরং যুগ যুগ ধরে একের উপর এক কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
সবচেয়ে ওপরের স্তরে রয়েছে ধাপে ধাপে সাজানো পাথরের সিঁড়ি, কলাম, দেয়াল, রাস্তা ও খোলা এলাকা। এই স্তরটি ৩ হাজার বছরের পুরনো। এর নিচের স্তরটাকে আগে প্রাকৃতিক কাঠামো মনে করলেও দেখা যায়, মাটির ১ থেকে ৩ মিটার নিচে অবস্থিত এই স্তরে রয়েছে একই রকমের কলাম। এই স্তরটি প্রথম স্তরের ৪ হাজার বছর আগে তৈরি। তৃতীয় স্তরও পাথর দিয়ে তৈরি, যা ১৫ মিটার গভীর। শেষ এই স্তরটি এখন থেকে ২৮,০০০ বছর আগে তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গবেষকরা জানান, তাদের গবেষণা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, পিরামিডের নীচে থাকতে পারে বড় বড় কক্ষ। সেখানে কী রয়েছে, এখন তাই জানার অপেক্ষায় প্রত্নতত্ত্ববিদরা।
আরও পড়ুন-তাপমাত্রা নামল মাইনাস ৬০ ডিগ্রিতে! ভয়ঙ্কর শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত আমেরিকা