পার্কের বিরুদ্ধে ঘুষ এবং প্ররোচনার ১৮টি অভিযোগ আনা হয়। এর প্রায় সবগুলো অভিযোগেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এই মামলায় বরাবরই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছেন পার্ক। রায় ঘোষণার সময়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন না এই ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট। তিনি রায়ের শুনানি বয়কট করেন এবং আদালতের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন।
এই রায়টি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে আদালত জানিয়েছে, এই মামলায় জনগণের অতি আগ্রহের কারণেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
advertisement
পার্ক জিউন হাইয়ের এই পরিস্থিতির কেন্দ্রে রয়েছেন তার সহযোগী চোই সুন-ইল। রাজনৈতিক সুবিধা দেবার কথা বলে বিভিন্ন কোম্পানির থেকে ঘুষ আদায় করার অভিযোগ এসেছে এই দুজনের বিরুদ্ধে।
পার্কের সহযোগী হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন চোই। এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এটাও ধারণা করা হয়, পার্কের সঙ্গে বন্ধুত্বের কারণে রাষ্ট্রীয় বিষয় প্রভাবিত করতেন চোই। আদালত অভিযোগ করে, অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় নথিপত্র চোইকে দেখার অনুমতি দিয়েছিলেন পার্ক।
জনগণের বিক্ষোভের মুখে ২০১৭ সালের মার্চে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান পার্ক। ৩১ মার্চ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।