ভয়াল ভূমিকম্পে তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ইতিমধ্যেই ৩৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ ভূমিকম্পের পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে৷ তাই জঙ্গল পরিষ্কার করে যন্ত্রের সাহায্যে কবর খোঁড়ার কাজ চলছে৷
আরও পড়ুন: ভারতের মহিলা সেনা অফিসারকে জড়িয়ে ধরলেন তুরস্কের বাসিন্দা, হাহাকারের মধ্যেও মন ছুঁল এই ছবি
advertisement
রবিবার তুরস্কের মারাসেরবিবার ৫ হাজার মৃতদেহ একসঙ্গে সমাধিস্থ করা হয়৷ সমাধিস্থেলর কাছেই তাঁবু খাটিয়ে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ মৃতদেহের সারির মধ্যে নিজেদের প্রিয়জনকে খুঁজে পেতেই সমস্যায় পড়ছেন মৃতের পরিবার এবং আত্মীয়রা৷ সমাহিত করার আগে রীতি মেনে প্রার্থনা এবং ধর্মীয় আচার পালনের জন্যও ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন৷ অন্যদিকে কয়েক মিনিট অন্তর অন্তর নতুন নতুন মৃতদেহ নিয়ে সমাধিস্থলে পৌঁছচ্ছে শববাহী বহনকারী গাড়ি৷ তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে যন্ত্রের সাহায্যে মাটি খোঁড়ার কাজ৷ যাতে আরও বেশি সংখ্যক মৃতদেহকে জায়গা করে দেওয়া যায়৷
আরও পড়ুন: একটা পরিবার পুরো শেষ! দু'হাতে কংক্রিট হাঁতড়ে ৩০ জন আত্মীয়ের খোঁজ যুবকের
তুরস্ক, সিরিয়ার এই ভূমিকম্পকে গত একশো বছরের মধ্যে এই অঞ্চলের সবথেকে ভয়াবহতম বলে দাবি করা হচ্ছে৷ তার মধ্যে সর্বস্ব হারানো মানুষের সমস্যা বাড়িয়েছে প্রবল ঠান্ডা৷ খোলা আকাশের নীচে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা আর পেটে খিদে নিয়েই দিন গুজরান করতে হচ্ছে গৃহহীন হাজার হাজার মানুষকে৷
গত সোমবার ভোররাতে সিরিয়া সীমান্তের কাছে তুরস্কের শহর গাজিয়ানটেপ প্রথম বার প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল৷ রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮৷ এর ৯ ঘণ্টা পরে ফের দ্বিতীয়বার জোরাল কম্পন অনুভূত হয় ওই অঞ্চলে৷ দ্বিতীয়বার কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৬৷ দুই দেশেই এখনও জারি রয়েছে উদ্ধারকাজ৷ ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকছেই৷