গত বছর সেপ্টেম্বরে লাহোরের কাছে এক হাইওয়ের উপর ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করেছিল কয়েকজন। বাচ্চাদের সামনেই তাদের মাকে গণধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। সেই ঘটনা পাকিস্তানকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছিল গোটা দেশ। এমনকী অনেকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছিলেন। যার জেরে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নড়েচড়ে বসেন। সেই মামলার তদন্ত শেষ করতেও পুলিশ বেশি দেরি করেনি। শেষমেষ দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিল আদালত।
advertisement
লাহোরের অ্যান্টি টেরোরিজম কোর্ট সোমবার এই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে। পাকিস্তানের মিডিয়া জানাচ্ছে, এই মামলার শুনানি হয়েছিল লাহোরের ক্যাম্প জেলে। ২৫ মিনিট ধরে শুনানি চলে। তারপর দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। দুজন দোষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক। এই মামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ সাক্ষী দিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বাচ্চাদের সঙ্গে হাইওয়ে ধরে যাচ্ছিলেন ওই মহিলা। লাহোর-শিয়ালকোট হাইওয়ের একটি টোল প্লাজা পার করার পরই তাদের গাড়ির পেট্রোল শেষ হয়ে যায়। বাচ্চাদের নিয়ে ফাঁকা জায়গায় সাহায্য প্রার্থনা করেন ওই মহিলা। তখনই এই মামলার মূল অভিযুক্ত আবিদ মালহি ও শওকত আলি বন্দুক নিয়ে ওই মহিলাকে ভয় দেখান। তারপর বাচ্চাদের সামনেই তাদের মাকে গণধর্ষণ করে। ওই মহিলার টাকা-পয়সা, গয়না, মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছিল দোষীরা।