জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত চল্লিশ বছর বয়সি ডাভিডে পাইতোনির সঙ্গে তার স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে৷ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অতীতেও পারিবারিক হিংসার অভিযোগ এনেছিলেন তার স্ত্রী৷ এমন কি, নিজের এক সহকর্মীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টার অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে গৃহবন্দিও থাকতে হয়েছে৷
আরও পড়ুন: স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ, হাওড়ায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিজের গলা কাটলেন স্বামী, রক্ত দিয়ে লিখলেন দেওয়ালে
advertisement
অতীতে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন সব মারাত্মক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পাইতোনি নামে ওই ব্যক্তির আবেদনে সাড়া দেন বিচারক৷ আদালত নির্দেশ দেয়, ৩১ ডিসেম্বরের সন্ধেবেলা বাবার সঙ্গেই কাটাতে হবে সাত বছরের ছেলেকে৷ ইতালির ভারেসে প্রদেশে পাইতোনির বাড়িতেই তার ছেলেকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়৷
সাত বছরের ছেলেটি অবশ্য বাবার কাছে যেতে অরাজি ছিল৷ বাবার কাছে না যেতে রীতিমতো কাকুতি মিনতি করেছিল সে৷ মা এবং দাদু-দিদার কাছেই থাকত সে৷ কিন্তু আদালতের নির্দেশে বাধ্য হয়েই ওই শিশুটিকে বাবার কাছে পাঠাতে বাধ্য হন তাঁরা৷ আর তারই পরিণতি হয় মর্মান্তিক৷ নিজের বাড়িতে একা পেয়ে ছেলেকে নৃশংস ভাবে খুন করে ওই ব্যক্তি৷
তবে ওই বাড়িতে পৌঁছনোর পর পাইতোনি এবং তার ছেলের মধ্যে কী ঘটেছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির গলায় ছুরির গভীর ক্ষত মিলেছে৷ অভিযুক্তের বাবার একটি বাড়িতে থাকা আলমারির মধ্যে থেকে পরে শিশুটির দেহ উদ্ধার করা হয়৷
পুলিশের অনুমান, স্ত্রীর উপরে প্রতিশোধ নিতেই ছেলেকে খুন করেছে অভিযুক্ত৷ এমন কী, শিশুটিকে খুনের পরেও তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার অছিলায় স্ত্রীকে নিজের কাছে ডাকে পাইতোনি৷ তার পরে স্ত্রীকেও খুন করার জন্য ছুরি দিয়ে হামলা চালায় সে৷ গুরুতর আঘাত লাগলেও প্রাণে বেঁচে যান ওই মহিলা৷ ঘটনার পরই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত৷ শেষ পর্যন্ত ২ জানুয়ারি মিলিটারি অফিসাররা তাকে গ্রেফতার করে৷
নিজের স্ত্রীকে পাঠানো ভয়েস মেসেজে পাইতোনি বলে, 'আমি তোমাকে শাস্তি দিতে চেয়েছি কারণ তুমি আমার জীবন শেষ করে দিয়েছো আর আমার ছেলেকে আমার থেকে কেড়ে নিয়েছো৷'
ইতালির সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিশুটির শোকস্তব্ধ দাদু বলেন, 'আমাদের নাতি ওর বাবার কাছে যেতে চায়নি৷ আমরা ওকে জোর করে পাঠিয়ে বড় ভুল করেছি৷'