প্রসঙ্গত সম্প্রতি জনগণের সঙ্গে প্রায় দুঘণ্টা দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর পর্বে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ইমরান। জনৈক এক ব্যক্তি ফোন করে প্রশ্ন করেছিলেন, দেশে যে হারে ধর্ষণ(Rape), যৌন হিংসার ঘটনা বাড়ছে বিশেষ করে শিশুদের সঙ্গে তাতে সরকারের কী চিন্তাভাবনা রয়েছে? তার উত্তরে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাত্রাতিরিক্ত অশালীনতাই এর জন্য দায়ী। দেশে ধর্ষণ, যৌন হিংসা বৃদ্ধির জন্য পাশ্চাত্য সংস্কৃতি থেকে আমদানি করা অশালীনতাকে দায়ী করেন তিনি। তাঁর মতে, ইসলামের ভাষায় পুরদা ভাবনাকে জাগ্রত করতে হবে। সমাজ থেকে কাম-বাসনাকে নির্মূল করতে হবে। কারণ সবার সংযম নেই। তিনি আরও বলেন মহিলারা যদি শরীর ঢেকে ঢুকে রাখে তাহলে এই ধরণের ঘটনা কমবে।
advertisement
এরপরেই ট্যুইট করে তীব্র কটাক্ষ করেন ইমরানের প্রাক্তন স্ত্রী ও ব্রিটিশ চলচ্চিত্র নির্মাতা জেমাইমা গোল্ডস্মিথ। তিনি লেখেন, "পুরুষকে বলো তাঁরা যেন নিজেদের গোপনাঙ্গ ঢেকে রাখে, দৃষ্টি সংযত করে। দায় পুরুষদের।" একইসঙ্গে জেমাইমা বলেন, আমি যে ইমরানকে চিনতাম সে বলত, মেয়েদের দোষ নয়, ছেলেদেরই চোখ ঢেকে রাখা উচিত। পাশাপাশি ইমরানের এই মন্তব্য ভুল উদ্ধৃত হয়ে থাকলেই খুশি হবেন বলে জানান জেমাইমা। এরপরেই তাঁর মন্তব্য নেটদুনিয়াতে ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়। অনেকেই রিট্যুইট করে নিজেদের মত প্রকাশ করেন। সরব হন নিন্দায়।
প্রসঙ্গত, তাঁর মন্তব্যে নিজের ক্রিকেট জীবনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, সাতের দশকে ব্রিটেনে তিনি যখন ক্রিকেট খেলতেন, সেইসময় যৌনতা, মাদক এবং রক এন্ড রোল সংস্কৃতি ধীরে ধীরে বাড়ছিল। যেটা সরাসরি পরিবারে প্রভাব ফেলছিল। কিন্তু এখন বিবাহ বিচ্ছেদ ৭০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। তার কারণ হল সমাজে অশালীনতার বৃদ্ধি।
তাঁর দাবি, একই জিনিস ভারতেও দেখা যায়, যখন ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হলিউড থেকে প্রেরণা নিতে শুরু করে। দিল্লিকে ধর্ষণের রাজধানী বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের জেরে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন।