ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে যে, থমাস তার স্ত্রীর পেট কেটে ডিম্বাশয়ও বার করে ফেলে৷ জানা গিয়েছে, মৃতার ধড় থেকে বার করা একমাত্র অঙ্গ ছিল ডিম্বাশয়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন যে কারখানায় বাণিজ্যিক কারণে যে বড় ব্লেন্ডার ব্যবহার করা হয়, সেগুলিতে মৃতার দেহাংশ ব্লেন্ড করে ডুবিয়ে রাখা হয় রাসায়নিক দ্রবণে৷ এই পৈশাচিক কাজের আগে থমাস ইউটিউব ভিডিও দেখে৷ ‘ডেইলি মেল’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ক্রিস্টিনার খণ্ডিত দেহাংশ নজরে আসে তাঁর বাবার জন্য৷ তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বাড়ির লন্ড্রি রুমের একটি কালো ব্যাগ থেকে কয়েক গাছি সোনালি চুল বেরিয়ে ছিল৷ দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান তিনি৷
advertisement
গত প্রায় দেড় বছর ধরে তদন্তকারীরা ব্লেন্ডার এবং তার ভিতরে বেশ কয়েকটি দেহাবশেষ উদ্ধার করেছেন৷ ব্লেন্ডারের মধ্যে হাড় ও মাংসের টুকরোও পাওয়া গিয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বিস্তারিত বলা হয়েছে যে থমাস তার স্ত্রীর নিতম্বের জয়েন্টগুলো কেটে ফেলেছিল, তার বাঁ হাত, এবং ডান পা কেটে ফেলেছিল৷ তার পর তাঁর মেরুদণ্ডও কেটে ফেলেছিল।
আরও পড়ুন : ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! নিউ ইয়র্কের বাড়িতে আগুন লেগে মর্মান্তিক মৃত্যু ২৪ বছরের ভারতীয় ছাত্রীর
থমাস এবং ক্রিস্টিনার দুই মেয়ে৷ মার্চ মাসে থমাস তার অপরাধ স্বীকার করে৷ তার দাবি, স্ত্রী ক্রিস্টিনা তাঁকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করেছিল বলেই আত্মরক্ষার জন্য সেও পাল্টা আঘাত করে৷ তবে, বিশেষজ্ঞরা এই দাবির সমর্থনে কোনও প্রমাণ পাননি এবং মৃত্যুর কারণ হিসেবে শ্বাসরোধকেই চিহ্নিত করেছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ব্লিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদালতের নথিতে পুলিশ উল্লেখ করেছে যে স্ত্রীকে খুনের পরও থমাসের মধ্যে অনুশোচনার কোনও লক্ষণ ছিল না৷ তাকে ঠান্ডা মাথার খুনি হিসেবেই বর্ণনা করেছেন তদন্তকারীরা৷
ক্রিস্টিনা জোকসিমোভিচ মিস নর্থওয়েস্ট সুইজারল্যান্ডের মুকুট জিতেছিলেন৷ তিনি ২০০৭ সালে মিস সুইজারল্যান্ড প্রতিযোগিতার ফাইনালিস্ট ছিলেন। তবে বিজয়িনী হতে পারেননি৷
