গিমি তেঞ্জি শেরপার বয়স ৩৮। বৃহস্পতিবার ভোরে খুম্বু হিমবাহের অপেক্ষাকৃত নিরাপদ অঞ্চলের কাছাকাছি একটি ট্রেইলে ‘ফুটবল মাঠ’ নামে পরিচিত একটি এলাকায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁর দেহ। “তাঁর মৃতদেহ নামিয়ে আনা হয়েছে। কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। প্রাথমিক চিকিৎসায় অনুমান অত্যধিক উচ্চতায় শারীরিক অসুস্থতার কারণেই এমনটা ঘটেছে,” জানান মার্কিন অভিযান সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মাউন্টেন গাইডসের স্থানীয় অংশীদার বেউল অ্যাডভেঞ্চারসের পাসাং সেরিং শেরপা।
advertisement
আরও পড়ুন- সাতসকালে ভিড় বাজারে বুলেটের আওয়াজ! চমকে দিয়ে বেরিয়ে এলেন এই অভিনেতা! থ আমজনতা!
তেঞ্জি শেরপা ক্যাম্প ২-এ পর্বতারোহনের সরঞ্জাম নিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই ভাবেই কাঁধে ব্যাকপ্যাক নিয়ে বসে থাকা অবস্থাতেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। “আজকের ঘটনাটি সবার জন্য বড় ধাক্কা। গিমির পরিবারের সকলকে আমাদের সমবেদনা এবং প্রার্থনা,” IMG-এর অভিযানের নেতা গ্রেগ ভার্নোভেজ সংস্থারর ওয়েবসাইটে এই বার্তা পোস্ট করেছেন।
এভারেস্টে যত মৃত্যু ঘটে তার প্রায় এক তৃতীয়াংশ নেপালি গাইড এবং পোর্টার। বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গে পৌঁছানোর লক্ষ্যে শত শত পর্বতারোহীদের স্বপ্নের জন্য তাঁরা যে ঝুঁকি নেন তা অনেকের অজানাই থেকে যায়। বেশিরভাগ পর্বতারোহীরাই অন্তত একজন গাইডের সাহায্যে ৮,৮৪৮-মিটার (২৯,০২৮-ফুট) পর্বতের চূড়ায় চড়তে চেষ্টা করেন।
গত মঙ্গলবারই ৮,১৬৭-মিটার (২৬,৭৯৫-ফুট) ধৌলগিরিতে একজন গ্রিক পর্বতারোহীর মৃত্যু ঘটেছে। বছর ৫৯-এর অ্যান্টোনিওস সাইকারিস বিশ্বের সপ্তম সর্বোচ্চ পর্বতের চূড়া থেকে নামার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ৭,৪০০ মিটার উচ্চতায় মারা যান।
আরও পড়ুন- সোনম কাপুরের বাড়ি থেকে চুরি করা টাকায় গাড়ি কিনল অপরাধীরা! কীর্তি ফাঁস ধৃতদের
২০২০ সালে মহামারীর সময় বন্ধ থাকার পরে কেবলমাত্র পর্বতারোহীদের জন্য ফের রাস্তা খুলে দেওয়া হয়। নেপাল সরকার ইতিমধ্যেই এভারেস্ট আরোহণের জন্য ২৫০ জন সহ এই মরশুমে ৬৮৯ জন পর্বতারোহীকে অনুমতি দিয়েছে।