মায়ানমারের ক্ষমতা দখল করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। সোমবার ভোরে অভিযান চালিয়ে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করা হয়। রাজধানী নেপিডো ও প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় রাস্তায় টহল দিতে শুরু করে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এরপর সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যুত্থানের খবর নিশ্চিত করে সেনাবাহিনী। সামরিক বাহিনীর মালিকানাধীন টেলিভিশনে ঘোষণা করা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লাংয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছে।
advertisement
মায়ানমারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের খবর প্রকাশ হওয়ার পর ইউরোপীয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল এক ট্যুইট বার্তায় জানান, ‘নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো উচিত এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনর্বহাল করা প্রয়োজন।’
ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন এবং ইইউ’র শীর্ষ কূটনীতিক জোসেফ বোরেলও সেনাবাহিনীর মিয়ানমারের ক্ষমতাদখলের নিন্দা জানিয়েছেন। ট্যুইটার বার্তায় ভন ডার লিয়েন লেখেন, ‘মায়ানমারে অভ্যুত্থানের কঠোর নিন্দা জানাচ্ছি।’ একই সঙ্গে আটককৃত সবার নিঃশর্তে অবিলম্বের মুক্তির দাবিও জানান তিনি।
ট্যুইটার বার্তায় জোসেফ বোরেল লেখেন, ‘মায়ানমারের জনগণ গণতন্ত্র চায়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাঁদের পাশে আছে।’