সাধারণত সপ্তাহশেষেই হয় প্রবাসী পুজোগুলি। এখানেও এবারে ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবারের সন্ধ্যে থেকে শুরু করে রবিবার ২ অক্টোবর সন্ধে পর্যন্ত চলবে তিনদিনের দুর্গোৎসব। শুক্রবার বোধন দিয়ে শুরু। সেদিন অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে থাকছে আনন্দ-মেলা। যেখানে একইসঙ্গে স্বাদ ও সাধের মেলবন্ধনে নজর টানবে নানা দেশি বিদেশি খাবার স্টল ও অন্যান্য বিক্রয়কেন্দ্র। আর থাকছে স্থানীয় শিল্পীদের অনুষ্ঠান।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোর আর ১০০ দিন...কলকাতার উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিমে কোথায় কী হচ্ছে?
আরও পড়ুন: রাজনীতিতে কাঁধে কাঁধ! 'ছেড়ে দেব না!' পুজোর লড়াইয়ে জোর টক্কর সতীর্থদের পরস্পরের...
শনিবার সারাদিন ধরেই চলবে পুজো, প্রসাদ বিতরণ, দুপুরের ভোগ খাওয়া, অতিথি শিল্পীদের গানের অনুষ্ঠান থেকে রাতের খাবার। রবিবার পুজোর শেষদিনও ভরে থাকবে মায়ের আরতি, দুপুরের খাওয়া, ধুনুচি নাচ, সিঁদুর খেলা ইত্যাদি চির চেনা পরিচিত মুহূর্তের আবেশে। আর দিন শেষে সেই চিরাচরিত বিসর্জনের বিষণ্ণতা যার শেষে গোটা বাংলার বাঙালির মতো অ্যারিজোনার প্রবাসীরাও বলে উঠবেন, 'আসছে বছর আবার হবে'।
করোনা অতিমারীর প্রকোপে ২০২০-তে পুজো হয়েছিল ভার্চুয়াল। ২০২১-এ নিয়ম ছিল সশরীরে পুজোয় অংশ নিতে গেলে হলে ঢোকার আগে দর্শনার্থীকে ভ্যাকসিন নেবার শংসাপত্র দেখাতে হবে। ভেতরে মাস্ক পরতে হবে। হলের ভেতরে এক সঙ্গে বেশী মানুষ থাকা চলবে না, ইত্যাদি। এবছর সরস্বতী পুজোতেও মাস্ক পরার স্বাস্থ্যবিধি ছিল। তবে এবারের দুর্গা পুজো কোভিডের পর প্রথমবার হতে চলেছে কোনওরকম বিধিনিষেধ ছাড়াই।
স্থানীয় শিল্পী ছাড়াও এবার অ্যারিজোনার দুর্গাপুজোয় গান শোনাতে কলকাতা থেকে আসছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সোমলতা আচার্য চৌধুরী। কোভিড পরবর্তী এই প্রথম পুজো। তাই এবারের পুজো ঘিরে আনন্দ, উৎসাহ, উদ্দীপনা সবই যেন একটু বেশি! সবমিলিয়ে অ্যারিজোনার বাঙালির দেশের বাইরে থেকেও একেবারে দেশীয় মেজাজে কাটতে চলেছে পুজোর ক'টা দিন।