মার্কো রুবিওর বয়স ৫৩ বছর, জন্ম ফ্লোরিডায়। সেক্রেটারি অফ স্টেটের জন্য যে নামগুলি হাওয়ায় ভাসছিল, তার মধ্যে মার্কো রুবিও-ও ছিলেন। কিন্তু এই নাম অতটা প্রত্যাশিত নয়। তবে ট্রাম্প শেষ মুহূর্তে নিজের মত বদলাতেও পারেন।
যাইহোক, রুবিও বরাবরই আক্রমণাত্মক নীতির পক্ষে। তবে তাঁর জন্য সেক্রেটারি অফ স্টেটের কাজটা খুব সহজ হবে না মোটেই। কুর্সিতে বসেই অস্থির বিশ্ব পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। বর্তমানে গাজা এবং ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে। চিন ক্রমশ মার্কিন বিরোধী দেশ হিসেবে পরিচিত রাশিয়া এবং ইরানের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। এসবই সামলাতে হবে তাঁকে।
advertisement
মার্কো রুবিও বরাবরই চিন, ইরান ও কিউবার জন্য আরও আক্রমণাত্মক বিদেশনীতির পক্ষে সওয়াল করে এসেছেন। তবে গত কয়েক বছর যাবত তাঁর মধ্যে কিছুটা নরম মনোভাব দেখা যাচ্ছে। এখন ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর যুগলবন্দী আমেরিকা এবং বিশ্বের জন্য কতটা কার্যকর হয়, সেটা সময়ই বলবে।
রুবিও সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সিনেট ফরেন রিলেশনস কমিটির সদস্য ছিলেন। এখন তাঁকে সেক্রেটারি অফ স্টেটের দায়িত্ব দিয়ে ট্রাম্প হয়ত ল্যাটিনো সম্প্রদায়কে নিজের পক্ষে আনতে চাইছেন। বার্তা দিতে চাইছেন যে প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে তাঁদের স্থান রয়েছে। এমনটাই মনে করছেন, আন্তর্জাতিক কূটনীতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: আপনার বাইকের মাইলেজ কি কমে গিয়েছে? এই একটি জিনিস বদলে ফেলুন…খরচ মাত্র ১০০ টাকা!
এবিসি নিউজ-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেক্রেটারি অফ স্টেটের জন্য মার্কো রুবিওর সঙ্গে একই নিঃশ্বাসে উচ্চারিত হচ্ছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান উদ্যোক্তা এবং নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী বিবেক রামাস্বামীর নামও। তবে মার্কো কিছুটা হলেও এগিয়ে।
মার্কো রুবিও প্রস্তাবিত বেশিভাগ নীতিই চিন এবং ইরানকে লক্ষ্য করে। তবে সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও মুখ খুলেছিলেন। তাঁর মতে, রাশিয়া যে সব অঞ্চল দখল করেছে তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করার বদলে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছনোর চেষ্টা করাই উচিত। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনকে ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া ১৫ রিপাবলিকান সেনেটরের মধ্যে মার্কো অন্যতম।
আরও পড়ুন: চার মাস পর যোগনিদ্রা ভাঙবে বিষ্ণুর! কপাল খুলবে ৫ রাশির, ধন সম্পদ উপচে পড়বে
এনবিসি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, “আমি রাশিয়ার পক্ষে নই। তবে দূর্ভাগ্যবশত বাস্তবতা হল, আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার মধ্যে দিয়েই ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ হবে।” দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই ট্রাম্প যুদ্ধে ইতি টানার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্কো রয়েছে। সেদিক থেকে ট্রাম্পের চিন্তাভাবনার সঙ্গে মার্কো রুবিওর নীতি মানানসই। তাই ডোনাল্ড ট্রাম্প সেক্রেটারি অব স্টেট হিসেবে চিন এবং ইরানের প্রতি কঠোর অবস্থানের জন্য পরিচিত সেনেটর মার্কো রুবিওকে মনোনীত করতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে।