শুক্রবার তিনি জানান, তাঁর প্রশাসন ‘তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীরূপে বন্ধ করে দেওয়ার কাজ করছে’ যাতে আমেরিকার সার্বিক অবস্থা ‘পুনরুদ্ধার’ করা সম্ভব হয়৷
একটি দীর্ঘ পোস্টের ওই বার্তায় ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘আমরা প্রযুক্তিগত ভাবে এগিয়েছি, কিন্তু, অভিবাসন নীতি ক্রমাগত অবক্ষয় হয়ে চলেছে, মানুষের জীবনচর্যার মান কমেছে’৷
advertisement
ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘যাঁরা যাঁরা আমেরিকার কাছে সম্পদ নন, যাঁরা আমাদের দেশকে ভালবাসাতে পারেনা, তাদের প্রত্যেককে সরিয়ে দেওয়া হবে৷…যাঁরা এই দেশের নাগরিক নন, তাঁরা এদেশের সরকারের কোনও পরিষেবা আর পাবে না’৷ ট্রাম্পের কথায়, ‘একমাত্র রিভার্স মাইগ্রেশনই (বিপরীত অভিবাসন) এই পরিস্থিতি ঠিক করতে পারে’৷
এই পোস্টের আগে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকায় আসা ভিড়ে ঠাসা একটি বিমানের ছবি পোস্ট করেছিলেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আফগানিস্তান থেকে এয়ারলিফট করে আমাদের দেশে আসার একটা টুকরো ছবি মাত্র৷ শয়ে শয়ে হাজার হাজার মানুষকে কোনও রকম দেখাশোনা না করেই আমাদের দেশে ঢোকানো হয়েছে৷ আমরা এটা ঠিক করে দেব৷ কিন্তু, কখনও ভুলব না জো বাইডেন এবং ওর লোকজনেরা আমাদের দেশের সঙ্গে করেছে’৷
যে ১৯টি দেশের ক্ষেত্রে এই সংক্রান্ত নিয়মকানুন কড়া করা হচ্ছে, সেগুলি হল আফগানিস্তান, বার্মা (মায়ানমার), চাদ, কঙ্গো, ইকোয়াটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ইয়েমেন, বরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিয়োন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজ়ুয়েলা। গত জুন মাসে ট্রাম্প বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে পুরোপুরি বা আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। সেই তালিকাতেও এই ১৯টি দেশের নাম ছিল।
বুধবার হোয়াইট হাউসের সামনে গুলি চলে। আহত হন আমেরিকার ন্যাশনাল গার্ডের দুই রক্ষী। তাঁদের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে বৃহস্পতিবার। অপর রক্ষীর অবস্থাও সঙ্কটজনক। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের এই নির্দেশকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
