এই প্রথম রাশিয়ার পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনকে একসঙ্গে জনসমক্ষে দেখা গেল৷ এ ছাড়াও চিনের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসৌদ পেজেশকিয়ান এবং মায়ানমারের মিন অং লাইং৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানকে পরাজিত করার ৮০ তম বর্ষপূর্তিতে এই সেনা প্যারেডের আয়োজন করেছিল চিন৷ যা চিনের ইতিহাসে দীর্ঘতম সেনা প্যারেড হিসেবে দাবি করা হচ্ছে৷ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, বিজয় দিবসে এতজন রাষ্ট্রনেতা এবং সামরিক প্রধানদের একসঙ্গে হাজির করিয়ে পশ্চিমী প্রভাব মুক্ত হয়ে নতুন অঘোষিত জোট তৈরির বার্তা দিল চিন৷
advertisement
মাত্র কয়েক দিন আগেই চিন শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে হাজির ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ তুরস্ক, বেলারুশের মতো দেশগুলির প্রেসিডেন্টরা৷ তার পর পরই বিজয় দিবসে কিম-পুতিনকে একসঙ্গে হাজির করিয়ে চিন জোরাল বার্তাই দিতে চাইল৷
যদিও চিনের এই প্রচেষ্টাকে যে তিনি ভালভাবে নিচ্ছেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ চিনকে বিঁধে তিনি বলেন, ‘বিদেশী শক্তির কবল থেকে তাদের মুক্ত করার জন্য আমেরিকার সেনাবাহিনী যে পরিমাণ রক্ত ঝরিয়েছে এবং আত্মত্যাগ করেছে, চিন কি সেই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করবে?’
শুধু তাই নয়, উত্তর কোরিয়ার কিম এবং রাশিয়ার পুতিনকেও বিঁধেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘চিনের মানুষ এই দিনটিকে দারুণ ভাবে উদযাপন করুন৷ আর ভ্লাদিমির পুতিন এবং কিম জন উনকেও আমেরিকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, ওনাদেরকেও আমার শুভেচ্ছা৷’