ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরই আমেরিকার বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলেছিল ভারত৷ নয়াদিল্লির দাবি ছিল, আমেরিকা নিজেই এখনও রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন চালিয়ে যাচ্ছে৷
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অবসরের ইঙ্গিত! এ কী বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প!
ভারতের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই সাংবাদিক বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়, আমেরিকা এখনও রাশিয়ার থেকে ইউরেনিয়াম এবং সার কিনছে কি না? এই প্রশ্ন শুনেই অস্বস্তিতে পড়ে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ ট্রাম্প জবাব দিতে গিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না৷ আমাকে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে৷’ লস অ্যাঞ্জেলেসে একটি সাংবাদিক বৈঠকেই এই মন্তব্য করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
advertisement
এনডিটিভি-তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও রাশিয়ার থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের সামগ্রী নিয়মিত আমদানি করে আমেরিকা৷ রাশিয়ার থেকে আমেরিকা বিপুল পরিমাণ ইউরেনিয়াম আমদানি করে৷
২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার থেকে মোট ২৪.৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সামগ্রী আমদানি করেছে আমেরিকা৷ ২০২৪ সালেই রাশিয়ার থেকে ১.২৭ বিলিয়ন ডলারের সার আমদানি করে আমেরিকা৷ ৬২৪ মিলিয়ন ডলারের ইউরেনিয়াম ও প্লুটোনিয়াম এবং ৮৭৮ মিলিয়ন ডলারের পোলাডিয়াম রাশিয়ার থেকে কিনেছে আমেরিকা৷
রাশিয়া থেকে নিজেরা বিপুল পরিমাণ আমদানি করলেও ট্রাম্প অবশ্য নিজের হুমকির জায়গা থেকে সরে আসেননি৷ তিনি জানিয়েছেন, যে দেশগুলি রাশিয়ার থেকে এখনও জ্বালানি কিনছে, আর কিছুদিন দেখে তাদের উপরে আরও চড়া হারে শুল্ক চাপানো হবে৷ ট্রাম্প বলেন, আমাদের সঙ্গে রাশিয়ার একটি বৈঠক রয়েছে৷ সেই বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়, আমরা তা দেখে নিয়েই সিদ্ধান্ত নেব৷
রাশিয়ার থেকে তেল কেনার অজুহাতে যেভাবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি ঘটাচ্ছেন ট্রাম্প, আমেরিকাতেই তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ রাষ্ট্রপুঞ্জে আমেরিকার প্রাক্তন দূত নিক্কি হ্যালি বলেন, ‘ভারত রাশিয়ার থেকে তেল কিনবে না, এই দাবি না হয় মানা গেল৷ কিন্তু রাশিয়া এবং ইরানের থেকে সবথেকে বেশি তেল কেনে যে দেশ, সেই চিনের উপরে শুল্ক চাপানোর আগে ৯০ দিন সময় দিয়েছেন ট্রাম্প৷ চিনকে সময় দেওয়া হচ্ছে অথচ ভারতের মতো বন্ধু দেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি করা হচ্ছে৷’