সোমবার এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে তেল আভিভ পৌঁছন ট্রাম্প৷ রেড কার্পেটে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়৷ এরপরে তিনি জেরুজালেমের ইজরায়েলি পার্লামেন্টে বক্তৃতা করেন এবং তারপরে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মিশর চলে যান৷
এদিন ট্রাম্প পৌঁছনো মাত্র হাততালিতে ভরে ওঠে গোটা ইজরায়েলি পার্লামেন্ট৷ কয়েক মিনিট ধরে হাততালিতে অভ্যর্থনা জানানো হয় তাঁকে৷ সকলেই উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে সম্মান জানান৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বিশেষ সঙ্গী স্টিভ ইউটকফ, জামাই জার্ড কুশনার এবং মেয়ে ইভাঙ্কা৷
advertisement
আমির ওহানা ট্রাম্পের অভ্যর্থনা করে জানান, তাঁরা বহুদিন ধরে এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করছিলেন৷ বলেন, ‘‘ট্রাম্প শুধুমাত্র একজন আমেরিকান প্রেসিডেন্টই নন, বরং ইহুদি ইতিহাসের সেই ‘জায়ান্ট অফ দ্য জিউইশ হিস্ট্রি’৷ তাঁর সঙ্গে আড়াই সহস্রাব্দ আগের সাইরাস দ্য গ্রেটের তুলনা টানা যায়৷’’
“বিশ্বের এখন যা প্রয়োজন তা হল তুষ্টিকরদের নয় যারা কুমিরকে খাওয়ায় এই আশায় যে তারা শেষ পর্যন্ত খাবে, যেমনটি আমরা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেখেছি, বরং বিশ্বের এখন যা প্রয়োজন তা হল আরও সাহসী, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, শক্তিশালী এবং সাহসী নেতাদের। বিশ্বের আরও ট্রাম্পের প্রয়োজন,” বলেন ওহানা।
তিনি আরও বলেন যে, আগামী বছর ট্রাম্পের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার মনোনয়নের পক্ষে ইজরায়েল ঐক্যবদ্ধ হবে: ‘৯ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে, আপনি ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্রপতিদের একজন হয়ে উঠেছেন’। এছাড়া, ইরানের উপরে ইজরায়েলি হামলা অপারেশন রাইজিং লায়ন এবং অপারেশন মিডনাইট হ্যামার চালানোয় আমেরিকার সরাসরি সাহায্যের জন্য এদিন ট্রাম্পকে ধন্যবাদও জানান নেতানিয়াহু৷