ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওলেক্সান্দর পোলিশচুক শনিবার জানিয়েছেন, “ভারত ও ইউক্রেনের মধ্যে ভবিষ্যৎ কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। উভয় পক্ষ দিনক্ষণ ঠিক করার চেষ্টা করছে। আমরা আশা করছি জেলেনস্কি অবশ্যই ভারতে আসবেন। এটি আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি বড় অর্জন হবে।”
advertisement
‘গঙ্গার টানেলের মাটি আমার কাছে, আমি চাই…’ কলকাতায় মেট্রো চড়ে আবেগপ্রবণ মোদি কী বললেন?
রেলযাত্রীদের জন্য সুখবর! ২২ অগাস্ট থেকে চালু হচ্ছে নতুন লোকাল ট্রেন! কোন রুটে দেখে নিন
২০২৪ সালের অগস্ট মাসে মোদি ইউক্রেন সফরে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি জেলেনস্কিকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান। এখন সেই সফরের দিনক্ষণ ঠিক করা হচ্ছে। এই খবর আসছে এমন সময়ে, যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তিন-সাড়ে তিন বছর পেরিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধ থামানোর বড় বড় আশ্বাস দিলেও জেলেনস্কি তাতে হতাশ হয়েছেন। তাই ভারতের ভূমিকা এই মুহূর্তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ নয়াদিল্লির সঙ্গে রাশিয়ারও সুসম্পর্ক রয়েছে।
২০২৩ সালের মে মাসে জাপানে জি-৭ সম্মেলনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিলেন দুই নেতা। তখনই মোদি বলেছিলেন, এই যুদ্ধ কেবল দুটি দেশের নয়, সমগ্র মানবতার প্রশ্ন। শান্তি ও মানবিক সহায়তায় ভারত সবসময় প্রস্তুত। এরপর ২০২৪ সালের জুনে ইতালির জি-৭ সম্মেলন এবং সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ‘সামিট অফ দ্য ফিউচার’-এ ফের জেলেনস্কির সঙ্গে মোদির সাক্ষাৎ হয়। প্রতিবারই মোদি জোর দিয়েছেন আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধের সমাধানের ওপর।
এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনও আসছেন ভারতে—২০২৫ সালের শেষে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল মস্কো সফরের সময় এই তথ্য জানিয়েছেন। আগের পরিকল্পনা ছিল ২০২৫-এর অগস্টে সফর করবেন পুতিন, তবে পরে তা পরিবর্তন করে বছরের শেষের দিক ঠিক করা হয়েছে।
দু’টি সফরই ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নয়াদিল্লি একদিকে যেমন ইউক্রেনের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চাইছে, অন্যদিকে বহু দশকের পুরনো রাশিয়ার সঙ্গেও গভীর বন্ধুত্ব অটুট রাখতে চাইছে।