প্রদীপ বলেন, “বর্তমানে আমাদের ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের অভাব রয়েছে কারণ আমরা ভারত থেকে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ পাইনি, ভারত নিজেই বিদ্যুতের ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছে।” শুষ্ক মরশুমে বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতির সম্মুখীন হয় নেপাল। অন্যদিকে বর্ষাকালে বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত থাকে এই ছোট্ট দেশে।
আরও পড়ুন- রেকর্ড ভাঙল দিল্লি, ১২ বছর পর সর্বোচ্চ অসহনীয় তাপমাত্রায় কাহিল রাজধানী!
advertisement
এতে অবশ্যই নেপালের তিনটি শিল্প করিডোর, বীরগঞ্জ, বিরাটনগর এবং ভৈরহাওয়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহকে প্রভাবিত হবে। প্রদীপ থিকে বলেন, “আমাদের যে কোনও সময় এই করিডোরগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিতে হতে পারে।” এতে প্রধানত বড় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ছোট শিল্পের তেমন কোনও সমস্যা হবে না বলেই জানান তিনি। “আমরা আলো সরবরাহের উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখতে পারব, তবে শুখা মরশুমে শিল্পকেন্দ্রগুলিতে বড় মেশিন চালানোর জন্য বিদ্যুৎ দিতে পারব না,” বলেন তিনি। তবে, এক বা দেড় মাস পরে, যখন বর্ষাকাল আসবে, তখন পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং নেপাল ভারতে বিদ্যুৎ রপ্তানির মতো জায়গায় থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন- মহম্মদপুর নাম 'দাসত্বের প্রতীক'! তাই গ্রামের নাম বদলে নয়া হোর্ডিং লাগাল বিজেপি!
অবশ্য কিছুদিন পর ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ব্যাপারের আশাবাদী তিনি। বিহার রাজ্যের কর্তৃপক্ষ ২,৩ দিন পরে নেপালে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে, জানান প্রদীপ থিকে। নেপাল ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৩৬৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে এবং ১ জুনের পর এখানকার পরিস্থিতির উন্নতি হলে তারা ভারতেও বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে সক্ষম হবে, জানান প্রদীপ। প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার সাম্প্রতিক ভারত সফরের সময়, দুই দেশই বিদ্যুৎ খাতে একসঙ্গে কাজ করার জন্য যৌথ অঙ্গীকার ব্যক্ত করে।