ইয়াসের প্রভাবে সমুদ্রে জলস্তরের উচ্চতা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ থেকে ৬ ফুট বেশি হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল। তিনি জানিয়েছেন, 'ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ভারতের ওড়িশায় আছড়ে পড়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের সমুদ্রের উপকূলীয় এলাকায় জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে শুধু ইয়াস নয়, এ ক্ষেত্রে পূর্ণিমারও প্রভাব রয়েছে। জোয়ারের জলে উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি দিনভর বৃষ্টিও হতে পারে চট্টগ্রাম সহ বাংলাদেশের বড় অংশজুড়ে।'
advertisement
এদিন সকালেই চট্টগ্রাম আউটার রিং রোড তথা বাঁধের নিচের এলাকা জোয়ারের জলে ভেসে গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম শহরের ১৩টি ওয়ার্ডে ৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। চিকিৎসক দল ও স্বেচ্ছাসেবীদেরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে সরকারের তরফে। সোমবার থেকেই মানুষকে ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপারে সতর্ক করা শুরু করেছিল প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত না হানলেও সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো বাতাস বইছে। এই ঝোড়ো বাতাস অব্যাহত থাকবে বেশ কিছুক্ষণ। এ ছাড়া গোটা বাংলাদেশজুড়েই বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে সে দেশের আবহাওয়া দফতর।