বড় বড় রেস্তোরাঁর কর্মচারীরা মাস-মাইনে পেলেও বেশিরভাগ রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রেই কিন্তু কর্মচারীরা দিন আনা দিন খাওয়ায় কাজ করেন। অর্থাৎ দিন মজুর হিসেবে কাজ করেন। ফলে লকডাউন তাঁদের জীবনে কী অসীম বিপজ্জনক প্রভাব ফেলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন এই পরিস্থিতিতে রেস্তোরাঁয় আসা কোনও ব্যক্তির থেকে যদি এত টাকা টিপস পাওয়া যায়, তা হলে মন্দ কী। বহু দিন পর ভালো আয়ের মুখ তো দেখবেন তাঁরা। আর এমনই হল ফ্লোরিডার মশালা মন্ত্র ইন্ডিয়ান বিস্ত্রো রেস্তোরাঁর কর্মীদের সঙ্গে।
advertisement
ফ্লোরিডার কেপ এলাকায় রয়েছে ভারতীয় এই রেস্তোরাঁ। সেখানে বছরের প্রথম দিনই খেতে আসে একটি দল। তাঁরা আর পাঁচটা লোকের মতোই খাবার ও জল খেয়ে বেরিয়ে যায়। কিন্তু যাওয়ার পরই আনন্দ, উচ্ছ্বাস শুরু হয় রেস্তোরাঁয়। কারণ ততক্ষণে সকলে জেনে গিয়েছেন যে, ওই দলটির টেবিলে যিনি খাবার পরিবেশন করেছিলেন, সেই কর্মচারী পেয়ে গিয়েছেন ২,০২০ ইউএস ডলার। টিপস হিসেবে ওই দলটি এই টাকা দিয়ে গিয়েছেন এই ব্যক্তিকে। এই পরিস্থিতিতে এত টাকা একসঙ্গে পাওয়ায় স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত রেস্তোরাঁর সকলে।
এমন এক বিষয় সকলের সঙ্গে শেয়ার করতে পরে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ বিলের একটি ছবি তুলে বিষয়টি জানান সোশ্যাল মিডিয়ায়। পোস্টটিতে জানানো হয়, যাঁরা ওই মোটা টাকা টিপস দিয়ে গিয়েছেন রেস্তোরাঁর কর্মচারী দঁ'কে, খাবার ও জল নিয়ে তাঁদের বিল ছিল তার অর্ধেকেরও কম। মাত্র ২৬৯ ইউএস ডলার। রেস্তোরাঁ সেই গ্রুপটির শুভ কামনা করে এবং জানায়, এই টাকা তাদের কাছে অনেক বড় পাওনা কারণ ২০২০ তাদের অনেক কষ্টে কেটেছে।
ঘটনাটি পোস্টের কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি ভাইরাল হয়। অনেকেই রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষকে শুভেচ্ছা জানাতে থাকেন। অনেকে আবার লেখেন, নতুন বছরের এর চেয়ে ভালো শুরু আর হতে পারে না।
এত বড় অঙ্কের টিপস দেওয়ার ঘটনা যদিও এই প্রথম নয়, এর আগে পেনসিলভেনিয়ার এক ইতালিয়ান রেস্তোরাঁয় এমনই ঘটনা ঘটে এক মহিলার সঙ্গে। অ্যান্টনিস অ্যাট প্যাক্সন হলো নামের ওই রেস্তোরাঁয় একটি গ্রুপকে খাবার সার্ভ করে পাঁচ হাজার ডলার টিপস পান ওই মহিলা। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা। স্বভাবতই ২০২০-র কঠিন পরিস্থিতির পর এত টাকা একসঙ্গে পাওয়া, তা-ও আবার টিপস হিসেবে, অনেকটাই বড় ব্যাপার!