গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ১৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩,৪৭৩ জনের শরীরে মিলেছে মারণ ভাইরাস। নমুনা পরীক্ষার বিচারে রোগী শনাক্তের হার ২১.৪৬ শতাংশ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ৭ লাখ ১৫ হাজার ২৫২ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ২৮৩ জনের। তবে, মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৮ হাজার ৮১৫ জন। প্রসঙ্গত, শুক্রবার বাংলাদেশে করোনায় ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর ৪ হাজার ৪১৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
advertisement
২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। গত বছরের মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছিল। গত বছর অগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের উপরে ছিল। এরপর থেকে শনাক্তের হার কমতে শুরু করেছিল। স্বস্তির শ্বাস ফেলেছিল হাসিনা সরকার।
নভেম্বর-ডিসেম্বরে বাংলাদেশে সংক্রমণ কিছুটা বাড়তে থাকলেও তারপর থেকে সংক্রমণ নিম্নমুখীই ছিল। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে ফের আছড়ে পড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে এবার সংক্রমণ অনেক বেশি তীব্র আকার নেয় বাংলাদেশে। মার্চ থেকে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও ফের বাড়তে শুরু করেছে। আর দিনদিন তা রেকর্ড ভাঙছে। বাংলাদেশে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ ক্রমেই ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ মার্চ বেশ কিছু বিধিনিষেধ সহ ১৮ দফা নির্দেশ জারি করেছে হাসিনা সরকার। এর মধ্যে ঘরের বাইরে গেলে মাস্কের ব্যবহার অন্যতম। কিন্তু সংক্রমণ ক্রমেই বাড়তে থাকলেও আমজনতার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনও উদাসীনতা দেখা যাচ্ছেই।