এই প্রকল্পে খরচ হয়েছে প্রায় ২২০০ কোটি টাকা (২১৬ মিলিয়ন পাউন্ড)। এই সেতুটি আইফেল টাওয়ারের চেয়ে ২০০ মিটার উঁচু এবং ওজনে প্রায় তিন গুণ বেশি। পুরো সেতুর ইস্পাত কাঠামোর ওজন ২২,০০০ মেট্রিক টন, যা তিনটি আইফেল টাওয়ারের সমান এবং মাত্র দুই মাসেই তা বসানো হয়েছে।
advertisement
চীনা রাজনীতিবিদ ঝাং শেংলিন বলেন, “এই মহা প্রকল্প ‘পৃথিবীর ফাটল’-এর উপর দিয়ে চীনের ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতাকে তুলে ধরবে এবং গুইঝৌকে একটি বিশ্বমানের পর্যটন গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলবে।”
প্রধান ইঞ্জিনিয়ার লি ঝাও বলেন, “আমার কাজ চোখের সামনে বাস্তব রূপ নিচ্ছে দেখতে পেরে আমার গর্ব এবং আনন্দ অনুভব হয়।”
সেতুটির উচ্চতা ২০৫০ ফুট, যা এটিকে বিশ্বের সর্বোচ্চ সেতুতে পরিণত করেছে। পরিকল্পনাকারীরা জানিয়েছেন, এখানে বসবাসের এলাকা, কাঁচের হাঁটার পথ এবং বিশ্বের সর্বোচ্চ বাঞ্জি জাম্পের ব্যবস্থাও করা হবে।
সেতুটি শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিই করবে না, বরং পর্যটন আকর্ষণ হিসেবেও তা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাবে। চীনের নির্মাণ ক্ষমতার প্রতিফলন এই প্রকল্প, যেখানে বিশ্বের ১০০টি সর্বোচ্চ সেতুর প্রায় অর্ধেকই চীনে অবস্থিত।
চীনের আগের সর্বোচ্চ সেতু ছিল ২০১৬ সালে বেইপানজিয়াং-এ নির্মিত, যার উচ্চতা ছিল ১৮৫৪ ফুট।