গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে (Guinness Book Of World Records) তাঁর নাম উঠতে উঠতেও ওঠেনি। এমনই দুঃখজনক খবর শোনালেন চিনা কর্মকর্তারা। গিনেস বুকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা হিসেবে যিনি রেকর্ড করেছিলেন, তাঁর বয়স ১১৮ বছর। তাঁর পরবর্তীতে এই মুহূর্তে এই রেকর্ডটি জাপানের কেন তানাকার (Kane Tanaka) নামে রয়েছে।
কিন্তু আমরা যে মহিলার কথা বলছি তাঁর বয়স ছিল প্রায় ১৩৫ বছরেরও সামান্য বেশি। তিনি গত সপ্তাহেই মারা গিয়েছেন। চিনের কর্মকর্তাদের মতে, এই নারী ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ১৩৫ বছর। সেখানে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত মহিলার বয়স মাত্র ১১৮ বছর।
advertisement
আরও পড়ুন-এবার ছুরির আঘাত থেকে প্রাণ বাঁচাবে এই টি-শার্ট ! যত ধারালোই হোক, হবে না কিছুই
চিনা কর্মকর্তাদের মতে, আলমিহান সেয়িতির জন্ম ২৫ জুন, ১৮৮৬ সালে। তখন চিনে কিং রাজবংশের রাজত্ব চলছিল। কিন্তু গত সপ্তাহেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আলামিহান। যদি চিনা কর্মকর্তাদের এই দাবি বিশ্বাস করা হয়, তবে আলমিহান সেয়িতি-ই বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা হয়ে উঠবেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি প্রতি সপ্তাহে এক কেজি চকলেট খেতেন। এখানেই শেষ নয়, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি ক্রমাগত সিগারেট ও মদ সেবন করেছেন। তবে দুঃখের বিষয়, তাঁর পরিবার বা চিনা কর্তৃপক্ষ তাঁর বয়স সম্পর্কে কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে যাত্রীবাহী লঞ্চে ভয়াবহ আগুন ! মৃত ১৬, নিখোঁজ বহু যাত্রী
আলমিহান সেয়িতির মৃত্যু হয়েছে এই বছরের ১৬ ডিসেম্বর। জীবনে তিনি দু'বার ক্যানসারকে পরাজিত করেছেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে আলমিহানের বিয়ে হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তাঁর স্বামী মারা যান ১৯৭৬ সালে। চকোলেটের প্রতি ভালোবাসা ছাড়াও আলমিহান গান গাইতে খুব পছন্দ করতেন। এছাড়াও তিনি অনেক ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজাতে জানতেন। তাঁর পরিবারের সদস্যদের মতে, মৃত্যুর সময় পর্যন্ত তিনি পরিষ্কার দেখতে ও শুনতে পেতেন, তবে হাঁটাচলায় সামান্য সমস্যা হত।
দ্য সান-এর খবর অনুসারে, যদি আলমিহান সেয়িতির বয়স সঠিক হয়, তবে তিনি কেন তানাকার চেয়ে ১৭ বছরের বড় ছিলেন, যিনি বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা হিসাবে গিনেস বুক অফ রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। তবে আলমিহানের পরিবার তাঁর বয়স যাচাই করার জন্য কখনওই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
