কী এই চ্যাপার ভাইরাস?
ভাইরাসের Arenaviridae ফ্যামিলির অন্তর্ভুক্ত এই চ্যাপার ভাইরাস। উল্লেখ্য, একই ভাইরাস পরিবারেরই অংশ ইবোলা ভাইরাস। গবেষকদের মতে ইবোলার সমগোত্রীয় এই ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট চ্যাপার হেমোব়্যাজিক ফিভার বা CHHF রোগের প্রভাব এখনও পর্যন্ত সে ভাবে দেখা যায়নি। তবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রবল। অতীতে চ্যাপার আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। আপাতত বলিভিয়ার নানা প্রদেশেই ঘুরে বেড়াচ্ছে এই ভাইরাস।
advertisement
কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে চ্যাপার ভাইরাস?
এর বাহক ইঁদুর। সাধারণত ইঁদুরের মাধ্যমে ছড়ায় ভাইরাসটি। একবার কেউ সংক্রমিত হলে, সেই সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে অন্যজনও খুব সহজে আক্রান্ত হয়ে যান। এ ক্ষেত্রে সংক্রমিত ব্যক্তির মল-মূত্রের মাধ্যমে ক্রমেই ছড়াতে থাকে চ্যাপার। তবে বাতাসে সংক্রমিত হতে পারে না এই ভাইরাস। গবেষকদের পরামর্শ, এই রোগের চিকিৎসার সময় স্বাস্থ্যকর্মী থেকে চিকিৎসক সকলকেই সচেতন থাকতে হবে। কারণ বডি ফ্লুইডের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি।
চ্যাপার হেমোব়্যাজিক ফিভার বা CHHF-এর উপসর্গ কী?
চ্যাপার ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জ্বর, মাথাব্যথা, অন্ত্রে ব্যথা, জয়েন্ট ও পেশিতে ব্যথা, ডায়েরিয়া, বমি-বমি ভাব, গায়ে ব়্যাশ বেরোনো, অস্বস্তি, জ্বালাজ্বালা ভাব-সহ একাধিক উপসর্গ দেখা যায়।
চ্যাপার জ্বরের চিকিৎসা:
এ পর্যন্ত এই ভাইরাস সৃষ্ট জ্বর বা অসুস্থতার চিকিৎসায় কোনও ভ্যাকসিন বা ড্রাগ তৈরি হয়নি। CHHF-এ আক্রান্ত রোগীদের সাধারণত কিছু সাপোর্টিভ ট্রিটমেন্ট ও থেরাপি দেওয়া হয়। এ ছাড়া কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি নেই।
অতীতে চ্যাপারের প্রভাব:
CDC-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এর আগে দু'বার এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল। ২০০৩ সালের শুরুতে প্রথমবার বলিভিয়ার চ্যাপার প্রদেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়। সেখান থেকেই ভাইরাসটির নামকরণ করা হয়। তখন চ্যাপার সংক্রমিত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। গত বছরই বলিভিয়ার লা পাজে এই ভাইরাসের দ্বিতীয় ও সর্ববৃহৎ সংক্রমণ দেখা যায়। ভাইরাসের থাবায় মোট পাঁচজন সংক্রমিত হয়েছিলেন। এর মধ্যে একজন রোগী ও দু'জন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়।