এক ৩২ বছর বয়সী জার্মান ক্যানসার রোগীর পেটে টিউমার অপসারণের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। অস্ত্রোপচারের সময়, রোগীর শরীরে ড্রেন বসানোর চেষ্টা করতে গিয়ে সার্জেনের হাত কেটে যায়। যদিও সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষতটি জীবাণুমুক্ত করে ব্যান্ডেজ করা হয়েছিল, পাঁচ মাস পর ওই চিকিৎসক তার মধ্যমা আঙুলে ১.২ ইঞ্চি আকারের শক্ত একটি গিঁট লক্ষ্য করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বান্ধবীকে পটাতে সিংহের খাঁচায় প্রবেশ! চিড়িয়াখানার কর্মীকে চরম শাস্তি পশুরাজের
চিকিৎসক যখন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হন, তখন জানা যায় এটি একটি মারাত্মক টিউমার। মাইক্রোস্কোপিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয় যে টিউমারটি রোগীর টিউমারের মতোই “ম্যালিগন্যান্ট ফাইব্রাস হিসটিওসাইটোমা”। চিকিৎসকদের মতে, রোগীর টিউমার কোষ চিকিৎসকের কাটা ক্ষতের মধ্য দিয়ে তার শরীরে প্রবেশ করেছিল।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা জানান, এটি অত্যন্ত বিরল ঘটনা। সাধারণত, শরীর বাইরের টিস্যুকে গ্রহণ করে না, বিশেষ করে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে। তবে এই ক্ষেত্রে, সঠিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা কাজ না করায় টিউমারটি বিকশিত হয়।
আরও পড়ুন: ক্রিসমাসের ভরা বাজারে গাড়ি নিয়ে হামলা! মৃত পাঁচ, আহত ২০০-এর বেশি, তালিকায় ৭ ভারতীয়ও
এই ঘটনা প্রথমে ১৯৯৬ সালে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন-এ প্রকাশিত হয় এবং এখন এটি আবার আলোচনায় এসেছে। রোগীর অস্ত্রোপচার সফল হলেও পরে জটিলতার কারণে তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, চিকিৎসকের টিউমারটি অপসারণ করা হয় এবং পরীক্ষার পর দেখা যায়, সেটিও রোগীর টিউমারের মতোই।
চিকিৎসকের শরীরে ক্যানসার আবার ফিরে আসেনি বা ছড়ায়নি। তবে এই ঘটনাটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছে যে, কীভাবে এমন ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, সঠিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং দ্রুত পদক্ষেপের কারণে চিকিৎসকের জীবন রক্ষা সম্ভব হয়েছে। এই ঘটনা চিকিৎসা পেশার ঝুঁকি ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে।