একটি বিবৃতিতে কারেকশনাল সার্ভিস অফ কানাডা জানিয়েছে, কুইবেক প্রদেশের পোর্ট কার্টিয়ার ইনস্টিটিউশনে বন্দি ছিলেন পিকটন। ১৯ মে অন্য এক বন্দি তাঁর উপর হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে সিরিয়াল কিলারের।
আরও পড়ুন– ‘৩০০ কোটি টাকা পেলে স্বামী-সন্তান ছেড়ে বেরিয়ে পড়ব…’, কপিলের শো-তে মনের কথা বললেন ফারাহ
advertisement
রবার্ট পিকটন কানাডার কুখ্যাত সিরিয়াল কিলারদের একজন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলিও ফলাও করে তাঁর মামলার খবর প্রকাশ করত। পিকটনের উপর হামলার দায়ে ৫১ বছর বয়সী এক বন্দিকে হেফাজতে নিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশের মুখপাত্র হুগুস বিউলিউ।
২০০৭ সালে ২৬ জন মহিলাকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হন পিকটন। তবে আদালতে ৬ জন মহিলাকে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। পিকটনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (বিনা প্যারোলে সর্বোচ্চ ২৫ বছর) সাজা শোনায় আদালত।
ভ্যাঙ্কুভারের পোর্ট কোকুইটলামে শূকরের ফার্ম রয়েছে পিকটনের। ওই এলাকার প্রায় কয়েক ডজন মহিলা নিখোঁজ হয়ে যান। এঁদের মধ্যে কেউ যৌনকর্মী, কেউ মাদকাসক্ত। এককথায় সমাজ পরিত্যক্ত মহিলাদেরই টার্গেট করতেন পিকটন। তাঁর খামারে তল্লাশি চালিয়ে ৩৩ জন মহিলার দেহাবশেষ উদ্ধার করে পুলিশ।
এক আন্ডারকভার পুলিশ অফিসারের কাছে বড়াই করে পিকটন বলেছিলেন, তিনি মোট ৪৯ জন মহিলাকে খুন করেছেন। মামলা চলাকালীন প্রসিকিউশনের সাক্ষী অ্যান্ড্রু বেলউড আদালতকে জানান, পিকটন তাঁকে বলেছিলেন কীভাবে তিনি মহিলাদের শ্বাসরোধ করে খুন করেন, তারপর দেহের অবশিষ্টাংশ শূকরদের খাওয়ান।
সিনথিয়া কার্ডিনালের বোন জর্জিনা পাপিনকেও নৃশংসভাবে খুন করেন পিকটন। জেলে পিকটনের খুনের খবরে সেই সিনথিয়া বলছেন, “আমার মনে হচ্ছে – দুর্দান্ত ব্যাপার। অবশেষে হল। এখন আমার আত্মা কিছুটা হলেও শান্তি পাবে। বোনের মৃত্যু পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারব। আমি বলব না সব পরিবার, তবে এখানকার বেশিরভাগ পরিবারই ওর শিকার হয়েছে ৷’’