ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন আগামী সপ্তাহেই কিশোরদের করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করতে পারে। ইতিমধ্যে এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতির যাবতীয় কাজকর্ম সেরে ফেলেছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা যাচ্ছে, প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কিশোরদের মধ্যে এই ভ্যাকসিনের কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। স্কুলে পরের সেশন শুরুর আগেই টিনএজারদের টিকাকরণের কথা ভাবছে কানাডা সরকার। কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল, পি ফাইজার ভ্যাকসিন কমবয়সী বাচ্চাদের শরীরে করোনার প্রতিষেধক হিসেবে কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে। ১৬ বা তার থেকে কমবয়সী বাচ্চাদের মধ্যেও এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা প্রমাণিত বলে সংস্থাটি দাবি করেছিল। তারপর কানাডা সরকার এই ভ্যাকসিন বাচ্চাদের দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করে।
advertisement
ফাইজার মার্চ মাসের শেষে আমেরিকায় ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী ২২৬০ জন ভলেন্টিয়ার্সের উপর টিকাকরণের পরীক্ষা চালিয়েছিল। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, টিকা নেওয়া ভলেন্টিয়ারদের মধ্যে কেউই পরবর্তীকালে করোনায় আক্রান্ত হয়নি। অর্থাৎ এই ভ্যাকসিনের ১০০ শতাংশ কার্যকরিতা প্রমাণিত হয়েছিল। তার পর থেকেই দেশের বাচ্চাদের এই টিকাকরণের আওতায় আনার কথা ভাবতে শুরু করে কানাডা সরকার। এখন বাচ্চাদের টিকাকরণের ঘোষণা কানাডায় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।