জেনিফার এখন সোচ্চার অর্গ্যান ডোনেশন নিয়ে। তাঁর মতে, পৃথিবীতে এটাই সেরা উপহার। কারণ তিনি যে আজ সুস্থ, সেটাও সম্ভব হয়েছে মরণোত্তর অঙ্গদানের জন্যই। হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের পর এখন তিনি সুস্থ মানুষের মতোই সক্রিয় এবং ব্যস্ত। জীবনকে এভাবেই তিনি এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, যত দিন সম্ভব।
advertisement
কবে নিজের শারীরিক সমস্যা টের পেলেন জেনিফার? তখন তিনি ২২ বছরের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। চড়াইয়ে ওঠার সময় অসুবিধে হত তাঁর। ধরা পড়ে, তিনি রেস্ট্রিক্টিভ কার্ডিওমায়োপ্যাথিতে আক্রান্ত। এই শারীরিক সমস্যায় সারা শরীরে রক্ত পাম্প করতে সমস্যা হয় হৃদযন্ত্রের। ডাক্তাররা বলে দেন হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপিত না হলে তিনি বাঁচবেন না।
২০০৭ সালে তাঁর জন্য ডোনর পাওয়া যায়। হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের পর নিজেকে নতুন মানুষ বলে মনে হয় তাঁর। অস্ত্রোপচারের পর রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস কে অনুমতি দিয়েছে তাঁর হৃদযন্ত্র প্রদর্শন করার জন্য। হলবর্ন মিউজিয়ামে সর্বসাধারণের দেখার জন্য সেটি সাজানো আছে। এর মাধ্যমে তিনি মরণোত্তর অঙ্গদানেরই জয়গান গাইতে চান।