সোমবার রাত পর্যন্ত অনলাইন পিটিশনে নাম লিখিয়েছেন ৩৭ লক্ষ ব্রিটেনবাসী। মঙ্গলবার হাউস অফ কমন্সের অধিবেশনে দ্বিতীয় গণভোট নিয়ে আলোচনাও প্রায় নিশ্চিত। এই পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের ওপর চাপ বাড়াল ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
এ যেন উলোট-পুরাণ। কয়েকদিন আগেই যারা ব্রেক্সিট নিয়ে গলা ফাটাচ্ছিলেন, তাদের একটি অংশের মুখেই এখন অন্য সুর। ভাবগতিক দেখে এদের মনে হচ্ছে, ব্রেক্সিটটা বোধহয় হারাকারি হবে।
advertisement
ঠিক সেই কারণেই তাদের দাবি, আরও একবার গণভোট দেওয়ার সুযোগ চাই । ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে সেই নিয়ে চলছে গণ-ডেপুটেশন। গত ৪৮ ঘণ্টায় সেটা ৩৭ লক্ষে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার হাউস অফ কমন্সে ব্রেক্সিট নিয়ে সেশনে দ্বিতীয় গণভোট নিয়ে ঝড় উঠা নিশ্চিত। মুখ খুলেছেন ১১ জন কমন্স সদস্যও। কেন গণভোটের ২ দিনের মধ্যেই ভুল শোধরানোর আর্জি?
ব্রিটিশ নাগরিকরা জানাচ্ছেন, উৎসাহে ভেসে বিচ্ছেদের মর্মটা উপলব্ধি করতে পারেননি তাঁরা। ভেবে দেখেননি, কোনও কিছু পেতে কিছু হারাতেও হবে। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই তাই ফিকে হয়ে ব্রেক্সিটের সেলিব্রেশন।
তবে ফিরতে চাইলেই কি ফেরা যাবে? ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনায় ব্রিটেনকে মায়াদয়া দেখাচ্ছে জার্মানি-ফ্রান্স। তবে ব্রিটেনের পার্লামেন্টে আলোচনার আগে শর্ত চাপানোর পথে হাঁটছে না তারা।
ই-ইউ সূত্রে খবর, পার্লামেন্টের প্রস্তাব গৃহীত হলে ৩টি প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে ব্রিটেনকে।
১)লিসবন চুক্তির ৪৮ থেকে ৫০ নম্বর ধারায় কমিশন থেকে নাম তোলা
২)চুক্তিতে নতুন ধারায় যোগ করে ব্রিটেনকে দ্রুত বেরনোর সুযোগ
৩) ই-ইউ কাউন্সিলের ক্ষমতাবলে কমিশন তৈরি করে এক্সিট পলিসি তৈরি করা
সোমবার ই-ইউ-র বৈঠকে ছিলেন ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী অসবোর্ন। মঙ্গলবার জার্মান, ফ্রান্স, হল্যান্ড সহ ৭টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে দেখা করবেন ডেভিড ক্যামেরন। সেখানেই তৈরি হতে পারে এক্সিট রুট ।