ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটেনের নতুন করে দর কষাকষির দায়িত্ব ছাড়লেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর হাতে। আগামী অক্টোবর পর্যন্ত অবশ্য দায়িত্ব সামলাবেন ক্যামেরনই। ততদিনে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টি।
রেফারেন্ডাম বা গণভোটের জন্য কোনও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ছিল না। তবুও ঝুঁকি নিয়েছিলেন ডেভিড ক্যামেরন। ইউরোপীয় রাজনৈতিক মহলের আর্জি উপেক্ষা করেই গণভোটের ডাক দিয়েছিলেন।
advertisement
শুক্রবার ফলপ্রকাশে দেখা গেল, ক্যামেরনের আরজি উপেক্ষা করেই, ব্রেক্সিট বা EU-এর সঙ্গে বিচ্ছেদের পক্ষে রায় দিয়েছেন ব্রিটিশরা। গণভোটের রায়ের পরই হারের নৈতিক দায় নিয়ে সরে গেলেন ১০, ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা।
বিচ্ছেদ পরবর্তী সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কী হবে ব্রিটেনের আর্থিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক? কেমন হবে বাণিজ্য চুক্তি? রূপরেখা ঠিক করার দায়িত্ব নতুন প্রধানমন্ত্রীর হাতেই ছাড়লেন ক্যামেরন।
তবে এখনই পদত্যাগ নয়। আগামী ৩ তিন মাস ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন ক্যামেরন। অক্টোবরে কনজারভেটিফ পার্টির বার্ষিক সম্মেলন। ততদিনে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে দল। তার আগে লন্ডন-ব্রাসেলস বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করে দেবেন ক্যামেরনই।
লন্ডন-ব্রাসেলস বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া যে পথে চলবে,
- সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশন
- অধিবেশনে 'ব্রেক্সিট'-এর প্রস্তাব পেশ
- ব্রিটিশ পার্লামেন্টে 'ব্রেক্সিট'-পাসের পর ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পেশ
- সেখানে ব্রিটেনের ব্যাখ্যা চাইতে পারে EU
- ৬০ দিনের মধ্যে লন্ডন-ব্রাসেলস বিচ্ছেদে পড়বে সিলমোহর
গত ৬ বছর ধরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন ডেভিড ক্যামেরন। তাঁর পর কে হতে চলেছেন লন্ডনের ১০, ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা? উঠে আসছে একাধিক নাম। ব্রিটিশ রাজনৈতিক মহলের মতে, দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে লন্ডনের প্রাক্তন মেয়র বরিস জনসনই।