জনসনের কথায়, 'এই ঘটনা শুধু কিছু আইনি জটিলতা থেকেই মুক্তিলাভ নয়, অতি জরুরি কিছু জাতীয় পরিবর্তনের মুহূর্তও৷ নতুন যুগের সূর্যোদয়৷ অনেকের কাছেই এই মুহূর্তটি বিস্ময়কর ও আশাপ্রদ মূহুর্ত৷ এমন একটি মুহূর্ত, যা তাঁরা কখনও আসবে বলে ভাবেননি। অনেকেই রয়েছে যারা এক ধরনের ক্ষতি এবং শঙ্কা অনুভব করছেন। তৃতীয় একটি পক্ষও রয়েছে, যারা এটা ভেবে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন, যে এই রাজনৈতিক অস্থিরতা কখনও শেষ হবে না। আমার দায়িত্ব হল, পুরো দেশকে ঐক্যবদ্ধ করে সবাইকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া৷ আমি জানি সেটাই হবে৷'
advertisement
গত বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে ব্রিটেনের পার্লামেন্টে ব্রেক্সিটের ওপর ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট পড়ে ৬২১টি। ঐতিহাসিক ভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট সদস্যরা ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দেন। যার নির্যাস, ৩১ জানুয়ারি মধ্যরাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেল ব্রিটেন৷
এর আগে ২০১৬ সালে গণভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় দেয় ব্রিটেন৷ কিন্তু তারপরে নানা জটিলতায় ৩ বছর কেটে গিয়েছে৷ অবশেষে ইইউ থেকে বিচ্ছেদ হয়ে গেল ব্রিটেন৷ ব্রেক্সিটের পক্ষে মত ছিল না স্কটল্যান্ডের বহু মানুষের৷ তাঁরা ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষেই মত দিয়েছিল৷ মোমবাতি জ্বালিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে স্কটল্যান্ড৷
বরিস জনসন আরও বলেন, 'মানুষের দুঃশ্চিন্তা আমি বুঝি৷ আমি আমার কাজও বুঝি৷ দেশকে ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে নিয়ে যাবো৷'
এর আগে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, বুধবারের ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অধিবেশন অনেকটাই নামমাত্র। কেননা, গত সপ্তাহেই এর সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কোনও বাধা ছাড়াই ব্রেক্সিট অনুমোদন পেয়ে যায়৷
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) হল ২৮টি দেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক জোট। এই জোটের সদস্য দেশগুলি নিজেদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করে৷ এই দেশের নাগরিকরা ইউনিয়নের যে কোনও দেশে গিয়ে থাকতে ও কাজ করতে পারেন।