২০১৬ সালের ২৪ জুন। ব্রিটেনের ইতিহাসে আক্ষরিক অর্থেই রেড লেটার্স ডে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে একলা চলার পক্ষেই রায় দেয় ব্রিটেনের ৫২ শতাংশ মানুষ। ফল বেরনোর পরই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তারপর টেমসের নদী দিয়ে অনেক জলই গড়িয়েছে ৷ ইইউর অধীনতা থেকে বেরিয়ে আসার এই সিদ্ধান্তকে যুক্তরাজ্যের স্বাধীনতা অর্জন হিসেবে দেখছেন বিচ্ছেদপন্থীরা। কিন্তু সংসদে ব্রেক্সিট বিলের বিরোধিতার কারণে এই বিচ্ছেদ অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। গত ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ব্রেক্সিটপন্থী কনজারভেটিভ দল বড় ধরনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফেরার পর ব্রেক্সিট কার্যকরের অনিশ্চয়তা দূর হয়ে যায়।
advertisement
ব্রেক্সিট বিল যার আনুষ্ঠানিক নাম ‘ইইউ উইথড্রোয়াল বিল’, বুধবার কোনও পরিবর্তন ছাড়াই পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে পাশ হয়। এরপর ছিল রানি এলিজাবেথের সাক্ষরের অপেক্ষা ৷ বৃহস্পতিবার রানির সাক্ষরের পরই পাকাপাকিভাবে আলাদা হয়ে গেল EU এবং UK-এর পথ ৷ এই বিল আইনের রূপ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হল EU-র সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের করা চুক্তিও ৷ Brexit কার্যকর হওয়ার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হতেই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, একটা সময় মনে হয়েছিল কখনই হয়তো ব্রেক্সিট বিল পাশ করা সম্ভব হবে না। আমরা সেই অসাধ্যসাধন করেছি ৷’
ব্রেক্সিট বিল অনুযায়ী আগামী ৩১ জানুয়ারি স্থানীয় সময় রাত ১১ টায় ইইউর সঙ্গে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ কার্যকর হবে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সাল পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে ইইউর সঙ্গে ব্রিটেনের বাণিজ্যিক ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত সমস্ত সম্পর্ক একই থাকবে ৷ কিন্তু এই সময়ের মধ্যে ব্রিটেন ইউরোপিয়া ইউনিয়নের কোনও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাজ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না ৷ ২৯ জানুয়ারি ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ত্যগ করার আগে ইইউ পার্লামেন্টে এই ব্রেক্সিট বিল পাশের জন্য বিশেষ অধিবেশন হবে ৷