২৯ জানুয়ারি এই খবর পৌঁছয় ভারতীয় নৌসেনার কাছে। আরব সাগরে তখন টহল দিচ্ছিল আইএনএস সুমিত্র। সঙ্গে সঙ্গে অপারেশন শুরু করে ভারতীয় নৌসেনা। জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত করে ‘আল নাঈমি’ জাহাজকে। উদ্ধার হন ১৯ পাকিস্তানি। অপারেশনের পর প্রত্যেকের মেডিক্যাল চেকআপ করা হয়েছে। স্যানিটাইজ করা হয়েছে জাহাজ।
আরও পড়ুনঃ জলদস্যুদের হাতে বন্দি ১৯ পাকিস্তানি, অপারেশন চালিয়ে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনা
advertisement
শুধু তাই নয়, গতকাল আইএনএস সুমিত্র, ভারতীয় নৌবাহিনীর দেশীয় অফশোর প্যাট্রোল ভেসেল আরব সাগরে কোচি থেকে ৭০০ নটিক্যাল মাইল পশ্চিমে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাইজ্যাক করা আরেকটি ইরানের পতাকাবাহী মাছ ধরার জাহাজ ‘এমভি ইমান’-এর ১৭ জন ক্রু সদস্যকেও উদ্ধার করেছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাইজ্যাকের খবর পাওয়ার পরেই সেখানে পৌঁছে যায় আইএনএস সুমিত্র। যুদ্ধজাহাজে থাকা এএলএইচ ধ্রুব চপার ঘিরে ফেলে জলদস্যুদের। তাদের অস্ত্রশস্ত্র কেড়ে নেয় ভারতীয় নৌসেনা। তারপর জাহাজের প্রত্যেককে নিরাপদে উদ্ধার করে। এমভি ইমানকেও জীবাণুমুক্ত করে পরবর্তী ট্রানজিটের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
৩৬ ঘণ্টার মধ্যে আইএনএস সুমিত্র কোচির প্রায় ৮৫০ নটিক্যাল মাইল পশ্চিমে দক্ষিণ আরব সাগরে ১৭ জন ইরানি এবং ১৯ জন পাকিস্তানি-সহ দুটি মাছ ধরার জাহাজকে জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করেছে। প্রতিরক্ষা দফতরের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই অঞ্চলের সমস্ত সামুদ্রিক হুমকির বিরুদ্ধে লড়ার জন্য ভারতীয় নৌসেনা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সমুদ্রে সমস্ত নাবিক এবং জাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের কাজ’।
২৮ জানুয়ারি নৌসেনা ক্ষেপনাস্ত্র ধ্বংসকারী আইএনএস বিশাখাপত্তনমকে এডেন উপসাগরে মার্শাল দ্বীপের পতাকাবাহী জাহাজে আগুন নেভানোর জন্য মোতায়েন করেছিল। ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র কমান্ডার বিবেক মাধওয়াল বলেছেন, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের পতাকাবাহী জাহাজের ক্রুদের সঙ্গে নিয়ে ছয় ঘণ্টার লড়াইয়ের পর, ভারতীয় নৌসেনার দমকল বাহিনী সফলভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এডেন উপসাগরে বাণিজ্যিক তেল ট্যাঙ্কারকে সময়মতো সাহায্য করার জন্য আন্তর্জাতিক প্রশংসা কুড়িয়েছে ভারত।