ভোটের প্রচারে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জনসন বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে কেউ এই ধরনে আচরণ করবেন সেটা কখনই কাম্য নয়। শুধু সংসদ কেন, সারাদেশে যে কোনও কাজের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য।’ প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, গত বুধবার তাঁর দল কনজারভেটিভ পার্টির (Conservative Party) এক সদস্যের বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ উঠেছে।
advertisement
সম্প্রতি ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সে (House of Commons) অধিবেশন চলার সময় নিজের মোবাইল ফোনে পর্নোগ্রাফি দেখার অভিযোগ উঠেছে কনজারভেটিভ পার্টির এক সাংসদের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার রাতে পার্লামেন্টের একটি সভায় মহিলা কনজারভেটিভ সদস্যরা যৌনতা এবং যৌন হয়রানির বিষয়ে বক্তব্য রাখছিলেন। সেখানেই এমন অভিযোগ করেন এক সাংসদ। এক মহিলা মন্ত্রী জানান, গত সপ্তাহে কমন্স চেম্বারে তাঁর পাশে বসেই এক সাংসদ ফোনে পর্ন ভিডিও দেখছিলেন।
সংসদে শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা চিফ হুইপ ক্রিস হিটন-হ্যারিস (Chris Heaton-Harris) প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন বলে জানা গিয়েছে। ICGS তদন্ত শেষ হলে চিফ হুইপ যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও একজন মহিলা সাংসদ অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, তিনিও ওই একই ব্যক্তিকে কমন্সের ভিতরে পর্নোগ্রাফি দেখতে দেখেছেন। ওই সাংসদের দাবি, তিনি ঘটনাটি ভিডিও করে রাখার চেষ্টাও করেছিলেন, কিন্তু পারেননি।
আগামী ৫ মে ব্রিটেনে স্থানীয় কাউন্সিল নির্বাচন (Local Elections 2022)। তার আগে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছেন কনজার্ভেটিভ পার্টির নেতারা। গত বুধবার হাউস অব কমন্সে গ্রিন পার্টির সাংসদ ক্যারোলিন লুকাস (Caroline Lucas) সংবাদ মাধ্যমে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, মন্ত্রী পরিষদের তিন মন্ত্রী-সহ মোট ৫৬ সাংসদের বিরুদ্ধে যৌন অসদআচরণের অভিযোগ উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী কি তাঁদের এ জন্য বরখাস্ত করবেন? তারপরেই বৃহস্পতিবার বরিস জনসনের মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।