বিমান বাংলাদেশের ঢাকা-দুবাইগামী একটি বিমানে ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায় এক বন্দুকবাজ ৷ সেনার গুলিতে শেষপর্যন্ত নিহত হয়েছে বন্দুকবাজ ৷ তার নাম মানাফি ৷ নিহত বন্দুকবাজ বাংলাদেশের নাগরিক বলে জানা গিয়েছে ৷ বিমানে ছিলেন মোট ১৪২ জন যাত্রী ৷ যাত্রীদের সকলকেই উদ্ধার করা হয়েছে ৷ আইসোলেশন বে-তে রাখা হয়েছে বিমানটিকে ৷
বাংলাদেশ বিমানের BG-147 ঢাকা থেকে দুবাই যাচ্ছিল। রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ঢাকা ছাড়ে। কিছুক্ষণ পরেই বিমানে থাকা বছর পঁচিশের বাংলাদেশি যুবক মানাফি, ককপিটে ঢোকার চেষ্টা করে। বাধা দিলে মারধর করে এক বিমানকর্মীকে।
advertisement
কিন্তু, বিমানচালক তাতে ঘাবড়ে না গিয়ে মাথা ঠান্ডা রাখেন। একটি বোতাম টিপে বার্তা পাঠিয়ে দেন চট্টগ্রাম এটিসিকে। বিকেল ৫টা ৪০ নাগাদ আইসোলেশন বে-তে বিমানটিকে নামানো হয়। ততক্ষণে RAB, বাংলাদেশের বায়ু সেনা এবং বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাহিনী চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছে। ওই যুবকের সঙ্গে টানা কথা বলতে থাকে RAB। বাইরে থেকে ককপিটের দরজা আটকে ১৪৮ জন যাত্রীকে নিরাপদে বিমান থেকে বরে করা হয়।
কথায় চিড়ে ভেজেনি। শুরু হয় অপারেশন। বিমানের মধ্যে ঢুকে পড়ে বাংলাদেশের বাহিনী। চলে গুলির লড়াই। আট মিনিটের নিখুঁত অপারেশন। মিশন সাকসেসফুল। গুলির লড়াইয়ে আহত হয় বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা ওই যুবক। পরে সে মারা যায়। কিন্তু, একজন যুবক পিস্তল নিয়ে বিমানে উঠে পড়ল কীভাবে ? নিরাপত্তায় কি গাফিলতি ছিল ? এর পিছনে কি কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর হাত আছে? সবই খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ সরকার।
