২০১৬ সালে সুদর্শন ‘চা-ওয়ালা’র ছবি তুলে নেন জাভেরিয়া। অভ্যাস মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করে দেন। তাতেই বদলে গিয়েছে আরশাদ খানের জীবন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই পাক চিত্রগ্রাহক যে ছবিটি পোস্ট করেছিলেন, তাতে আরশাদকে চা বানাতেই দেখা যাচ্ছিল। গাঢ় নীল দৃষ্টি ক্যামেরার লেন্সের দিকে। সেই ভাবেই এক পাত্র থেকে অভ্যস্ত হাতে চা ঢালছেন আর এক পাত্রে। তিনবছর আগে ১৪ অক্টোবর সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবিটি পোস্ট করেছিলেন জাভেরিয়া। ক্যাপশন ছিল ‘গরম চা আর নীল দৃষ্টি’। জাভেরিয়া আলির এই পোস্ট রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। লাইকস, শেয়ারস আর কমেন্টসের বান ডাকে আরশাদের ছবির নীচে।
advertisement
এ বার রাতারাতি বিখ্যাত হলেন বাংলাদশের এক শ্রমিক ৷ মালয়েশিয়ায় কর্মরত এক নির্মাণকর্মীর তীক্ষ্ণ চাহনিতে মজেছে সোশ্যাল মিডিয়া ৷ গত ২১ মার্চ আবেদেন মাং নামে এক ব্যক্তি ওই নির্মাণকর্মীর পোট্রেট তুলে ট্যুইটারে পোস্ট করে দেন ৷ তাঁর রূপালি চোখের দৃষ্টিতে ঘায়েল নেটিজেনরা ৷ ইতিমধ্যেই ছবিটি প্রায় ৬৯ হাজার লাইক পেয়েছে ৷ রিট্যুইট হয়েছে প্রায় ২৫ হাজারেরও বেশি সময় ৷ তবে, ভাইরাল হয়ে যাওয়া ওই বাংলাদেশী শ্রমিকের পরিচয় এখনও জানা যায়নি ৷ ছবিটির চিত্রগ্রাহক আবেদেন মাং জানিয়েছন, তিনি সেই নির্মাণকর্মীর ছবিটি তুলেছিলেন মালয়েশিয়ার জালান আইপোহ এলাকার কাছে একটি নির্মীয়মান বহুতল থেকে ৷
তাঁর তোলা ওই শ্রমিকের ছবিটি ভাইরাল হয়ে যেতে তিনি বেজায় খুশি ৷ পরে এ নিয়ে একটি ট্যুইট করে জানান,প্রথমবার সেই শ্রমিককে দেখে ছবি তুলতে চাইলেও কোনো সুযোগ হয়নি তাঁর। কেননা সে সময় বেজায় লজ্জা পাচ্ছিলেন তিনি ৷ তাঁর ছবি তুলতে গিয়ে লজ্জা পেয়ে সরে গিয়েছিলেন তিনি ৷ তবে গত ২১ মার্চ সকালে সেই এলাকায় আবার গেলে তাঁর দেখা পেয়ে যান মাং। তখন আর সুযোগটি হাতছাড়া করেননি তিনি। বলেন, “আইফোনে কাজ করছিলাম। হঠাৎ সেই শ্রমিকের দেখা পেয়ে যাই। আর তক্ষুনি ছবিটি তুলে ফেলি।”
এরপর, ছবিটি ট্যুইটারে প্রকাশ করলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং সেই শ্রমিকের প্রশংসায় আসতে থাকে নানান জনের নানান মন্তব্য। কেউ বলছেন,‘‘ওই ব্যক্তির দৃঢ়চেতা চাহনি সত্যিই পাগল করার মতো ৷’’ আবার কেউ লিখেছেন,‘‘ওর মুখটা খুবই সুন্দর। বোন স্ট্রাকচাার বা মুখের গড়ন বিস্ময়কর।’’সে যাই হোক না কেন, এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপাচ্ছেন এই বাংলাদেশী যুবক ৷