শুনানিতে সরকার পক্ষের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু আদালতে বলেন, মামলাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এই মামলার অভিযুক্ত রোজিনা ইসলাম যদি তাঁর পাসপোর্ট আদালতে জমা দেন, সে ক্ষেত্রে তাঁর জামিনে কোনো আপত্তি নেই। এরপরে রোজিনা ইসলামের পক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজীও বলেন, ‘সরকার যে শর্ত দিয়েছে, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’ উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে রোজিনার জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'গণমাধ্যম শক্তিশালী মাধ্যম। সবাই যেন দায়িত্বশীল আচরণ করেন।'
advertisement
রোজিনার পক্ষের অপর আইনজীবী প্রশান্ত কর্মকার বলেন, '১৫ জুলাই এই মামলার চার্জশিট দেওয়ার কথা রয়েছে। আমরা আইনগতভাবে এই মামলা মোকাবিলা করবো। রোজিনা ইসলাম যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই মতো আমরা আইনি পদক্ষেপ করব।' প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রোজিনার জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছিল। রবিবার রায় দেবেন বলে জানিয়েছিলেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। সেই রায়েই জামিন পেলেন রোজিনা।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মে ৬ ঘণ্টা আটকে রাখার পর রাতে শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে রোজিনা ইসলামকে হস্তান্তর করা হয়। ওই রাতে তাঁর বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেক্টস অ্যাক্টে মামলা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে সরকারি নথি চুরি এবং অনুমতি ছাড়া সেই নথির ছবি তোলার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তাঁকে প্রথমে আটকে রাখা এবং তারপর পুরোনো আইনে মামলা দেওয়ার ঘটনা বাংলাদেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে যায়। সাংবাদিকদের সব সংগঠন এই গ্রেফতারির প্রতিবাদ করে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে রোজিনাকে আটকে রাখার ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। তাতে দেখা যায়, রোজিনাকে গলা চেপে ধরে রেখেছেন সচিবালয়ের এক মহিলা অফিসার। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন করার জন্য নানা সময়ে আলোচনায় এসেছে রোজিনা ইসলামের নাম।