চলতি বছরে গত ৫ এপ্রিল বাংলাদেশ দ্বিতীয় বারের জন্য কঠোরতম বিধি-নিষেধ জারি হয়। ক্রমেই বাড়তে থাকে এই লকডাউনের মেয়াদ। কিন্তু তাতেও সংক্রমণে রাশ টানা যায়নি। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২৪ জুন বাংলাদেশের মৃত্যু হয়েছিল ১৪ জনের। তারপরেই ২৫ জুন সকালের রিপোর্টে দেখা যায় বাংলাদেশের মৃত্যু হয়েছে ১০৮ জনের। সরকারি সূত্রে খবর ৬১ টি জেলার মধ্যে অন্তত ৪০ টি জেলা অতি ঝুঁকিপূর্ণ। এই অবস্থায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন চাইছে কোনও ভাবেই জনতা যাতে নিয়মবিধি অমান্য না করে তা নিশ্চিত করতে। আর সেই কারণেই এই কঠোর বিধি-নিষেধ। প্রশাসন মনে করছে ইদ-উল-ফিতরেও সংক্রমণের গতিবৃদ্ধি পেয়েছে।
advertisement
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, এই কড়া লকডাউনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বেরোতে পারবে না। অ্যাম্বুলেন্স এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা ছাড়া কোনও গাড়ি রাস্তায় থাকবে না। সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রে অবশ্য কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। বন্ধ থাকবে সমস্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস।
ইতিমধ্যেই আশেপাশের মানিকগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ,গোপালগঞ্জ, থেকে জরুরি পরিষেবা ছাড়া মূল শহরে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি বলছে পরিসংখ্যানই। ফলে বাংলাদেশে চাইছে সংক্রমণ রুখতে আরো কঠোর হতে।