গত সপ্তাহে ঢাকার ব্যস্ত এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে মুখোশধারী বাইক আরোহী হামলাকারীদের গুলিতে আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা বাংলাদেশ জুড়ে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর এবং জনতার হিংসাত্মক তাণ্ডব শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে ভয়াবহ ঘটনা! ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন ৪ জীবন
advertisement
মেসির ইভেন্টে বিশৃঙ্খলা হল কেন? শতদ্রু দত্তকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এল নতুন তথ্য!
জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক দশকেরও বেশি আগে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করেছিলেন ওসমান। হাদির মৃত্যুর পর পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের দফতর, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নেয় ময়মনসিংহে, যেখানে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এক হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা করে পরে তাঁর দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
এই সমস্ত ঘটনার জেরে সাম্প্রতিক মাসগুলির মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হিংসার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত জাতীয় নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে এই অস্থিরতা দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
এই আবহে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস শুক্রবার কড়া ভাষায় জনতার হিংসার নিন্দা করেন। তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক উত্তরণের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে নাগরিকদের হিংসা, ঘৃণা ও উসকানির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।” পাশাপাশি তিনি দেশবাসীর কাছে শান্তি ও সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানান।
