ইনকিলাব মঞ্চের নিহত আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ভাই দাবি করেছেন, নির্বাচন আটকাতেই ওসমাকে খুন করিয়েছে সে দেশের মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার৷
গত ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচার করার সময় মাথায় গুলি করা হয় ইনকিলাব মঞ্চের ছাত্রনেতা বছর ৩২-এর ওসমান হাদিকে। পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় সরকারি উদ্যোগেই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গাপুরে৷ সেখানে গত ১৮ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় তাঁর৷ হাদির মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে পৌঁছতেই আগুন জ্বলে যায় ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায়৷ বিক্ষোভে রাস্তায় নামে ইনকিলাব মঞ্চের সমর্থকেরা৷ চলে উদীচি, ছায়ানট সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ‘প্রথম আলো’র অফিসে, ‘ডেইলি স্টারে’ চলে ভাঙচুর৷
advertisement
মধ্য ঢাকায় হাদির শেষকৃত্য চলাকালীন নিহত ছাত্রনেতা হাদির বড় দাদা আবু বকর ভিড়ের উদ্দেশ্যে একটি আবেগঘন বক্ৃতা করেন৷ সরাসরি কাঠগড়ায় দাঁড় করান রাজনৈতিক নেতাদের, বিচার দিতে ব্যর্থ মুহম্মদ ইউনূসের সরকারের তুলোধনা করেন৷
এরপরেই ইউনূস সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে আবু বকর বলেন, ‘‘যদি বিচার দিতে পারো, তাহলে তোমাকেও পালাতে হবে৷’’ নিজের ভাইয়ের মৃত্যুর পিছনে ইউনূসের সরকারকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘‘তোমরাই ওসমান হাদিকে মেরেছ, তোমরা ওকে সামনে রেখে নির্বাচন বতিল করতে চাও৷’’
কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পালিত হয় হাদির শেষযাত্রা৷ হাজার হাজার মানুষ অংশ নে সেখানে৷ স্লোগান ওঠে “হাদির রক্ত বৃথা যাবে না”।
২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় হাদি খ্যাতি অর্জন করেন, যার মঞ্চ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অন্য ভূমিকা রেখেছিল এবং আসন্ন ফেব্রুয়ারির সংসদ নির্বাচনেও তাঁকে সম্ভাব্য কণ্ঠস্বর হিসেবে ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছিল।
আবু বকর কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান, “হাদির হত্যাকারী সকল খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে৷”। তিনি বলেন, তাঁর ভাই বলত “কখনও মাথা নত করব না”। যা স্লোগান হয়ে উঠেছিল জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের৷
