ঢাকা: বাংলাদেশের ময়মনসিংহে উন্মত্ত জনতার হাতে সংখ্যালঘু দীপু চন্দ্র দাসের মৃত্যুর ভয়বহতা একেবারে ভিতর থেকে নাড়িয়ে দিয়েছে যে কোনও সুস্থ মনের মানুষকে৷ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও নিন্দার মুখে পড়শি দেশ৷ অবশেষে, পরোক্ষে হলেও সেই হত্যার নৈতিক দায় স্বীকার করল ইউনূস সরকার৷ মঙ্গলবার তাঁর বাড়িতে পৌঁছলেন মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক৷ জানালেন, এখন থেকে নিহত দীপু দাসের পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব নেবে ইউনূস নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকার৷
advertisement
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দীপু দাসের বাড়িতে যান বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার৷ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সময়, সেদিনের ঘটনাকে ‘পাশবিক অপরাধ’ বলে উল্লেখ করেন তিনি৷ জানান, এই অপরাধের কোনও অজুহাত হতে পারে না৷
আরও পড়ুন :‘তোমরাই মেরেছ…,’ নির্বাচন থামাতেই খুন করেছে ইউনূস! মারাত্মক অভিযোগ ছাত্রনেতা হাদির দাদার
আবরার বলেন, ‘‘দীপু দাসের সন্তান, স্ত্রী এবং বাবা-মায়ের দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছে রাষ্ট্র। ওই ঘটনা হল পাশবিক অপরাধ, যার কোনও অজুহাত থাকতে পারে না।’’ তবে পরিবারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেননি ইউনূস৷ বরং আবরার জানিয়েছেন, নিহতের বাড়ি যাওয়ার আগে তাঁর মুখ্য উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হয়েছে এবং তিনি দীপুর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন৷
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইউনূস সরকারের সংবাদমাধ্যম শাখার তরফে মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘‘অভিযোগ, রটনা বা বিশ্বাসের প্রভেদ কখনও হিংসার অজুহাত হতে পারে না। আইন নিজের হাতে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।’’ নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচারের আশ্বাসও দিয়েছে সরকার।
উপদেষ্টা আবরার বলেছেন, ‘‘তদন্ত চলছে। যারা দায়ী, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের বিচারের অধীনে আনা হবে। এ ধরনের হিংসার বিরুদ্ধে আইন তার পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করবে।’’
