সোমবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শরফি ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের সমস্ত বিচার এবং শুনানি ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্টে করা হবে৷
সম্প্রতি শাহবাগে জাতীয় মিউজিয়ামের সামনে একটি সাংবাদিক বৈঠক করার সময় ইনকিলাব মঞ্চের সেক্রেটারি আবদুল্লাহ আল জাবেরকে রীতিমতো হুমকির সুরে বলতে শোনা যায়, হাদির হত্যাকারীর সম্পূর্ণ বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোনও নির্বাচন হতে দেবেন না তাঁরা৷ তাঁদের দাবি মানা না হলে, পথে নামার ডাকও দেন ওই নেতা৷
advertisement
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ‘প্রথম আলো’ সূত্রে জানা গিয়েছে, জাবের এদিন স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘‘বিচারের আগে কোনও নির্বাচন নয়৷’’ তিনি জানিয়েছেন, বর্তমান সরকারের পরবর্তী কাজকর্মই ঠিক করবে ভবিষ্যতে ইনকিলাব মঞ্চ আদৌ অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করবে কি না৷
জাবের দাবি করেছেন, বর্তমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে মুহম্মদ ইউনূসের উপরে ভরসা রেখেছেতাঁর দেশবাসী৷ কিন্তু, এত বড় একটি ঘটনার পরে কী কী করা উচিত তা যেন ভেবেই উঠতে পারছেন না তাঁর দেশের মুখ্য উপদেষ্টা৷ সবশেষে জাবেরের মন্তব্য, ‘‘কোনও নির্বাচনে যাওয়ার আগে এবং তাঁর দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার আগে, তাঁকে মানুষকে জবাব দিতে হবে৷ প্রথমে বিচার চাই৷ তারপরে নির্বাচন৷ তার আগে ভোট নয়৷’’
জাভেরের দাবি, অবিলম্বে হাদির হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে হবে, যদি সে বাংলাদেশে থাকে৷ আর যদি সে বিদেশে পালিয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে৷ প্রয়োজনে বিদেশি তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই বা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সাহায্য নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি৷
২০২৪ সালের যে জুলাই বিপ্লবে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়েছিল, সেই ছাত্র আন্দোলনের প্রায় প্রথমসারিতে ছিলেন ছাত্রনেতা ওসমান হাদি৷ তিনিই ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং মুখ্য সংগঠক৷ গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পল্টন এলাকায় বক্স কালভার্ট রোডে নির্বাচনী প্রচারে গেলে তাঁকে সরাসরি গুলি করেন এক মুখোশধারী আততায়ী৷ ঢাকায় চিকিৎসা করানো হলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাজিকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্চতু, গত ১৮ ডিসেম্বর সেখানেই মারা যান তিনি৷
