স্বামী-স্ত্রী হিসেবে দীর্ঘ দেড় মাসের দাম্পত্য জীবন কাটিয়ে ফেলেছিলেন তাঁরা। তার পর হঠাৎ করেই প্রকাশ্যে আসে, মাহমুদুল হাসান শান্ত নামের এক যুবক যাঁকে বিয়ে করেছেন, সেই নববধূ সামিয়া আসলে একজন পুরুষ!
বাংলাদেশে এই ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মাহমুদুল হাসান শান্ত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের হাউলি কেউটিল গ্রামের বাসিন্দা। সামিয়ার আসল নাম মো. শাহিনুর রহমান। তিনি চট্টগ্রামের আমতলা ঈদগাহ বউ বাজার এলাকার বাসিন্দা।
advertisement
আরও পড়ুন- সীমান্তের বেড়া নয়, এয়ারপোর্টের কাচ ভেঙে কলকাতায় ঢুকতে গেলেন বাংলাদেশি! তার পর কী হল?
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফেসবুকে দীর্ঘদিন প্রেম করার পর ৭ জুন শান্তর বাড়িতে চলে আসেন প্রেমিকা ‘সামিয়া’। এর পর পরিবারের সম্মতিতে শান্ত ও সামিয়ার বিয়ে হয়। তার পর থেকে নববধূ হিসেবে শান্তর পরিবারের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন সামিয়া। তবে পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারেননি, নববধূ হিসেবে আসা ‘সামিয়া’ আসলে পুরুষ।
নানা কারণে সম্প্রতি স্বামী শান্ত ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে সামিয়াকে নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। মাহমুদুল হাসান শান্ত বলেছেন, ‘সামিয়ার সঙ্গে ফেসবুকে আমার পরিচয়। তার পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পর হঠাৎ ৭ জুন ও আমাদের বাড়িতে চলে আসে। তখন পারিবারিকভাবে ওকে বিয়ে করি।’
তিনি আরও বলেন, “বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী হিসেবে সামিয়ার আচরণ রহস্যজনক ছিল। আমি ওর কাছে গেলেই বলত, ‘এখন অসুস্থ, ডাক্তার আপাতত কাছে আসতে নিষেধ করেছেন। আমি জানতাম না ও মেয়ে নয়, ছেলে।” সামিয়ার হরমোনগত সমস্যা রয়েছে বলে জানান শান্ত।
মাহমুদুল হাসান শান্তর মা সোহাগী বেগম বলেছেন, ‘একজন পুরুষ আমাদের পরিবারে বউ হয়েছিল, আমরা তা টের পাইনি। ও অভিনয় করে আমাদের সবার মন জয় করে নিয়েছিল। কিন্তু সবই যে তাঁর অভিনয় ছিল, তা আমরা বুঝতে পারিনি। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমরা ওকে ওর বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।’