মে পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি প্রায় ৬৫ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। ঢাকার উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উড়ালপথসহ নির্মাণকাজের অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৮৬ শতাংশ। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৬৩ শতাংশ। মেট্রোরেল নির্মাণ ও তা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। তাঁরা বলছে, আগামী অগস্টে ঢাকায় উড়ালপথে ট্রেনের চলাচল দেখতে পাওয়া যাবে।
advertisement
জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় ট্রেন চলবে উত্তরা থেকে পল্লবী পর্যন্ত। এরপর তা চলবে আগারগাঁও পর্যন্ত। তবে এই চলাচল হবে পরীক্ষামূলক, কোনও যাত্রীকে সেখানে উঠতে দেওয়া হবে না। এভাবে বছরখানেক পরীক্ষামূলক চালানো হবে মেট্রোরেল। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেলের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো পথেই একসঙ্গে মেট্রোরেল চালুরও পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তা যদি হয়, তাহলে বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে মেট্রোরেল চালু হতে সময় লাগবে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত। এই প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পথটি লাইন-৬ নামে পরিচিত। এই পথের দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ কিলোমিটার। এই পথের মধ্যে ১৬টি স্টেশন থাকছে। লাইন-৬-এর দুটি ভাগ: উত্তরা থেকে আগারগাঁও এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিল। এর মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত আগে মেট্রো চালুর পরিকল্পনা নিয়েছিল সরকার। হোলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনার পর থেকেই মেট্রোরেলের কাজে গতি কমে এসছিল। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গত বছর থেকে চলতে থাকা করোনা পরিস্থিতি। কিন্তু এবার কাজে গতি এনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে চাইছে সরকার।