ঢাকার সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বেরিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন শেখ হাসিনা। ভোটের ফল বেরোনো শুরু হতেই তাঁর কথাই সত্যি হয়ে উঠল। বিরোধীদের একরকম গুঁড়িয়ে দিয়েই এগোতে থাকে বাংলাদেশের নৌকা। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির কোনও অস্তিত্ব প্রায় টের পাওয়াই গেল না। নিজের কেন্দ্র গোপালগঞ্জ -৩ -এ দু’লক্ষেরও বেশি ভোট পেয়ে বিরোধীহীন জয় পেলেন শেখ হাসিনা। অসুস্থ থাকায় প্রচারে যেতে না পারলেও এক লক্ষেরও বেশি ভোটে জয় পেলেন মহাজোটের প্রার্থী এইচএম এরশাদ। ফলাফল কোন দিকে এগোচ্ছে তা বুঝতে পেরে বিরোধীরা সুর চড়াতে থাকেন। তাঁদের দাবি, সেনাকে ব্যবহার করে ভোট করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগ। এই ফলকে প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে ভোটের ডাক দেন ঐক্য ফ্রন্টের আহ্বায়ক কামাল হোসেন।
advertisement
রবিবার সকাল ৮টা থেকে মোট ২৯৯ টি আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৪টেয়। ৩০০ আসনের বাংলাদেশ সংসদে ভোট ঘিরে শনিবার রাত থেকেই হিংসা ছড়াতে থাকে। রাজশাহী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কক্সবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙামাটি, নরসিংদি, বগুড়া, গাজীপুর, সিলেটে উত্তেজনা ছড়ায়। নিহত হন বেশ কয়েকজন।
এবছরের ফেব্রুয়ারিতে দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দোষী সাব্যস্ত হন। তাঁর জেল হওয়ায় কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে বিএনপি। দেশ জুড়ে বিভিন্ন ইস্যুতে একের পর এক বিক্ষোভের আঁচও যে তাঁর আসন টলাতে পরেনি, তা এই ভোটেই বুঝিয়ে দিলেন শেখ হাসিনাও। তাঁর এই জয়ের ফলে পরপর তিনবার ক্ষমতায় আসতে চলেছেন মুজিবকন্যা।