নেপালের সময় ২ টো ২০ তে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছনোর কথা ছিল বসন্তদের। কিন্তু রানওয়ে ছোঁয়ার আগের মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বিএস ২১১ । তবে জ্বলন্ত সেই বিমানটি থেকে ভাগ্যের জোরে বেঁচে ফিরেছেন বসন্ত।
সংবাদ মাধ্যমকে বসন্ত জানিয়েছেন, ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস নামে এক পর্যটন সংস্থার কর্মী বসন্ত ৷ বাংলাদেশে গিয়েছিলেন একটি প্রশিক্ষণের জন্য। বসন্তের কথায়, ঢাকা থেকে বিমানটি ওড়ার সময় মধ্যে কোনও গোলমাল নজরে পড়েনি বসন্তদের। বাকি সময়টা সফর ছিল ঠিকঠাকই। কিন্তু কাঠমান্ডুর আকাশে বিমানটি ঢোকার পরেই গণ্ডগোল শুরু হয় ৷ বসন্ত জানিয়েছেন, ত্রিভুবনে নামার কিছুক্ষণ আগে থেকে বিমানটি অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। শুরু হয় ঝাঁকুনি। তার পরই ভয়ানক আওয়াজ। আগুনও লেগে যায় ৷ অবস্থা বেগতিক দেখে ভাবতে সময় নেননি বসন্ত ৷ বসন্ত জানিয়েছেন, ‘আমি কোনও মতে জানলার কাচ ভেঙে বেরিয়ে আসি। তার পর আর কিছু মনে নেই।’
advertisement
কাঠমাণ্ডুতে ভেঙে পড়ল যাত্রীবাহী বিমান ! ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (TIA) ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটল সোমবার ৷ ভেঙে পড়ল বাংলাদেশের যাত্রীবাহী বিমান ৷ অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিমান ৷ বিমানের ভিতর থেকে ৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে ৷ সবমিলিয়ে দুর্ঘটনায় ৫০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর ৷ যাত্রীদের মধ্যে ৩৩ জন নেপালি এবং ৩৮ জন বাংলাদেশি ছিলেন ৷ পাশাপাশি ৪ জন বিমানকর্মীও ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে ৷
কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের যুগ্ম-সচিব সুরেশ আচার্য্য জানান, ২০ জন আহত যাত্রীকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ ঢাকা থেকে ৬৭ জন যাত্রীকে নিয়ে এদিন কাঠমাণ্ডু যাচ্ছিল বাংলাদেশের বিমান সংস্থা ইউএস বাংলার ৭৮ আসনের ওই বিমান ৷ দুপুর ২.২০ মিনিট নাগাদ কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দরের সামনে রানওয়ের কাছে একটি ফুটবল মাঠে ভেঙে পড়ে বিমানটি ৷ TIA-র উদ্ধারকারী দল এবং নেপালের সেনাবাহিনী দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকার্যে নামে ৷