বাংলাদেশ পুলিশের দাবি, গুলশানের অভিজাত রেস্তোরাঁয় হামলাকারীরা সকলেই বাংলাদেশি। প্রকাশিত হয়েছে কয়েকজন নিহত জঙ্গির ছবি। সেই ছবির একটি মুখ মিলে যাচ্ছে আওয়ামি লিগ নেতার নিখোঁজ পুত্রের সঙ্গে। বাংলাদেশের শাসক দলের নেতা এবং অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা ইমতিয়াজ খান বাবুলের ছেলে রোহান ইমতিয়াজের সঙ্গে নিহত জঙ্গির মুখের সাদৃশ্য দেখে চমকে উঠেছেন সকলেই ৷
advertisement
রোহান ওরফে নিবরাস ইসলাম গত ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ৷ চিকিৎসার প্রয়োজনে বাবা-মায়ের সঙ্গে ভারতে আসেন রোহান ৷ রোহানের পরিবারের দাবি, ২০১৫-র ৩০ ডিসেম্বর রোহন নিখোঁজ হয়ে যান ৷ পরিবারের তরফ থেকে ঢাকার মহম্মদবাজার থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয় ৷
কোথায় গেলেন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পড়ুয়া রোহান। এই প্রশ্নের জবাব না থাকায় জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। যদিও বাংলাদেশ সরকারের তরফে এ খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।
জঙ্গিদের মধ্যে কেউ রোহান নন, এমনই দাবি তাঁর আত্মীয়দের। কিন্তু,ফর্সা ও লম্বা মুখের রোহানের সঙ্গে মিল রয়েছে এক জঙ্গির ৷ ইমতিয়াজ পরিবারের ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, ভারতে আসার আগে ধর্মীয় আচরণে বেশি জড়িয়ে পড়ে রোহান ৷
রোহানের ফেসবুক অ্যাকটিভিটি অনুযায়ী চলতি বছরের ১২ জানুয়ারী অবধি তিনি ঢাকাতেই ছিলেন ৷ তারপর থেকেই আর তাঁর কোনও খবর নেই ৷ অথচ পরিবারের দাবি, রোহান গত বছরের শেষে নিখোঁজ হন ৷ সেই দাবির সত্যতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন ৷
তবে এটুকু তথ্যে জঙ্গি বলে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। যদিও গোয়েন্দাদের দাবি, গুলশানে হামলাকারীরা রোহানের মতোই অবস্থাপন্ন পরিবারের সদস্য।
অবস্থাপন্ন পরিবারের ছেলের জেহাদি হয়ে ওঠার উদাহরণ এই প্রথম নয় আগেও মিলেছে ৷ জঙ্গি সংগঠনগুলি অবস্থাপন্ন পরিবারের তরুণদের মগজ ধোলাই করে তাদের গোষ্ঠীর সদস্য বানিয়ে নেয় ৷
গোয়েন্দাদের দাবি, গুলশানের হামলাকারীদের গত ৬ মাস ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ৷ ঠিক গত ৬ মাস ধরেই রোহান নিখোঁজ থাকায় এই সন্দেহ জোরালো হচ্ছে ৷
প্রশ্ন উঠছে, রোহান কি ভারতে এসে জঙ্গিদের কব্জায় পড়েছিলেন। নাকি তিনি নিজেই জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। ছবিতে মুখের মিল ঘিরে এই জল্পনা তৈরি হলেও এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে এ খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।