সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে হোসেন তৌফিক ইমাম, ঢাকার জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ISI-এর জড়িত থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ৷ তিনি বলেন, রেস্তোরাঁর ভিতরে জঙ্গিরা যেরকম নৃশংস কায়দায় ২০ জন পণবন্দিকে গলার নলি কেটে হত্যা করেছেন তাতেই পরিষ্কার জঙ্গিরা স্থানীয় জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাউদ্দিনের সঙ্গে যুক্ত ছিল ৷ ‘জামাতরা এভাবেই গলা কেটে খুন করে ৷’
advertisement
এইচ.টি.ইমামের দাবি, ‘পাকিস্তানের ISI এবং জামাত-উল-মুজাউদ্দিনের ঘনিষ্ঠতার কথা ভাল করেই জানা আছে সকলের। তারা বর্তমান সরকারকে উৎখাত করতে চায়। জামাত-উল-মুজাউদ্দিন এবং স্থানীয় সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী যেভাবে হত্যা করে, সেরকম করেই হলি আর্টিজান বেকারিতে পণবন্দিদের হত্যা করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, এর আগেই জঙ্গি হামলায় আইএস যোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ৷ তাঁর দাবি, হামলার পিছনে রয়েছে ঘরের মাটিতে বেড়ে ওঠা স্থানীয় জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন। জঙ্গিরা প্রত্যেকেও বাংলাদেশি নাগরিক।
ঢাকায় শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ ঢাকার অভিজাত গুলশন এলাকার একটি কাফেতে হামলা চালায় কয়েকজন জঙ্গি ৷ মুহূর্তের মধ্যে পণবন্দি করে নেওয়া হয় রেস্তোরাঁয় উপস্থিত মানুষদের ৷ হামলায় ৬ জঙ্গি, ১৭ জন বিদেশি নাগরিক ও দুই পুলিশ কর্তা সহ মৃতের সংখ্যা ২৮ ৷
কোরান বলতে না পারায় শুক্রবার রাতেই রেস্তোরাঁ ভিতরে ১১ জনই বিদেশি নাগরিক সহ ২০ জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা ৷ মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ১৯ বছরের মেয়ে, ভারতীয় তারিশি জৈন ও তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক ৷