চলচ্চিত্রে সেভাবে নাম না করতে পারলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় জ্যাকলিন ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় ৷ তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যাও নিতান্ত কম ছিল না ৷ খোলামেলা পোষাকে প্রায়শই ছবি পোস্ট করতেন জ্যাকলিন ৷ তাঁর ফেসবুক লাইভ দেখার জন্যও অধীর আগ্রহে বসে থাকতেন জ্যাকলিনের অনুরাগীরা ৷ আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ৷ এতদিন অবশ্য ঘটনাটি গোপনই রেখেছিল জ্যাকলিনের পরিবার ৷ শেষপর্যন্ত মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনা স্বীকার করেন জ্যাকলিনের বাবা স্বপন শীল ৷ তিনি থানায় ডায়েরিও করেছেন ৷
advertisement
গত ৩০ জানুয়ারি মাঝরাতে হঠাৎই মিথিলা নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘‘কাল আমি আত্মহত্যা করব। কেউ আমাকে প্রত্যাখান করেনি। আমিও কাউকে প্রত্যাখান করিনি। কিন্তু, আমি আত্মহত্যা করব।’’ পরের দিন সকালে ফের তিনি লেখেন, ‘‘ধীরে ধীরে মৃত্যুর পথে পা বাড়াচ্ছি।’’ এর ঠিক দু’দিন পরে চট্টগ্রামের বাড়ি থেকে মিথিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর দেহের পাশ থেকে একটি চিরকূট উদ্ধার হয়েছে। সেখানে লেখা, ‘‘আমি ভালবেসে বিয়ে করেছিলাম। বিয়ের পর তাঁর ভালবাসা কমে গিয়েছে।’’
চট্টগ্রাম বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম বলেন, এই মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করা হয়েছে- স্বামীর সঙ্গে অভিনেত্রীর ঝগড়া। অভিনেত্রীর আসল নাম জয়া শীল, বয়স ২২ বছর।পুলিশের এই কর্মকতা আরও বলেন, তিনি বিবাহিত ছিলেন। তাঁর স্বামীর নাম উৎপল রায়। স্বামীর বাড়ি ফটিকছড়িতে। স্বামীর সঙ্গে তাঁর প্রায়শই ঝগড়া লাগত বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।
জ্যাকলিনের জন্ম ফেনীতে। তাঁর পিতা স্বপন শীল পেশায় নাপিত। খুব অল্প বয়সেই জ্যাকলিন চট্টগ্রামে চলে আসেন এবং সেখানেই বড় হন। এরপর ঢাকায় এসে ফিল্ম ও মডেলিং ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত হন। কয়েকটি ছবিতে জ্যাকলিনকে আইটেম ডান্সারের ভূমিকাতেও দেখা যায় । কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত ‘সাহসী’ এই মেয়ে শেষপর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন, সেটা তাঁর ফ্যানরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ৷