শুক্রবার পরীমনিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা। অন্য দিকে, তাঁর আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। সরকারপক্ষ নায়িকার জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমানচন্দ্র মণ্ডল পরীমনির জামিনের আবেদন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
advertisement
৪ অগস্ট পরীমনির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি মদ উদ্ধার করে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন। বিদেশি মদের পাশাপাশি একাধিক মাদকদ্রব্যও উদ্ধার করা হয় তাঁর বাড়ি থেকে। এর পরেই হেফাজতে নেওয়া হয় পরীমনিকে। পরীমনির দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। এই গ্রেফতারির পর তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন জনপ্রিয় লেখিকা তসলিমা নাসরিন ও বাংলাদেশের বিশিষ্টজনেরা।
এদিন পরীমনির জামিন আবেদন করে তাঁর আইনজীবী মজিবুর রহমান আদালতকে জানান, পরীমনি 'ভার্টিগো' এবং 'প্যানিক অ্যাটাক'-এর রোগী। তিনি দীর্ঘদিন পুলিশ হেফাজতে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বিপর্যস্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। হেফাজতে থাকলেও মামলা সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়নি। জরুরি চিকিৎসার স্বার্থে তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হোক। তবে তদন্তের স্বার্থে ফের পরীমনিকে হেফাজতে পাঠানোর আবেজন করেন সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা। জামিন পেলে তদন্তের তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হতে পারে বলে দাবি করেন তিনি।